দক্ষিণ কোরিয়ায় সিউলের হ্যালোউইন ক্রাশের ঘটনায় তদন্তানাধীন পুলিশ অফিসার জিওংকে (৫৫) মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ১২টা ৪৫ মিনিটে সিউলে নিজ বাসা থেকে জিওং এর মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় একটি মিডিয়ার প্রতিবেদন বলা হয়, জিওং এর মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।
সিউলে হ্যালোউইন ক্রাশের ঘটনায় পুলিশি প্রতিক্রিয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিলো। পুলিশের ব্যর্থতা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (৯ নভেম্বর) তাকে সাসপেন্ড করা হয়।
জিওং এর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ডিলিট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় যেখানে হ্যালোউইন পার্টিতে এ ধরনের ঘটনার জন্য সতর্ক করা হয়েছিলো। করোনা মহামারির পর গত ২৯ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার ইটাওনে হ্যালোউইন পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ সময় পদদলিত হয়ে ১৫৬জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ১৯৬ জন। তবে কেউ কেউ বলছে সেদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকায় প্রায় ১ লাখ মানুষকে রাস্তায় দেখা যায়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় ৬টা ৩০ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
তবে প্রশাসন জানায়, সেদিন রাতে ইটাওনে ১৩৭জন পুলিশ অফিসার মোতায়েন করা ছিলো। তবে তা বিপুল জনতার তুলনায় খুবই কম ছিলো। তবে এখন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান করছে।