গাংনীতে ঠিকাদারের কাছে ঘুষ চাওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেসার্স মিঠু এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে গাংনী হাসপাতাল বাজারে এইচএম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ঠিকাদার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন এলজিইডির নিবন্ধনকৃত ঠিকাদার। যার লাইসেন্সের নাম মেসার্স মিঠু এন্টারপ্রাইজ। আমি সরকারি বিধি মোতাবেক লটারির মাধ্যমে মটমুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ পেয়ে ইতি মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করি। তৎকালীন প্রকৌশলী বদলি হওয়ার পর বর্তমান প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন তার সহকারী আলাউদ্দীন ও সার্ভেয়ার আকতার হোসেন বিভিন্ন সময় কৌশলে বিল তৈরির ক্ষেত্রে টাকা নিয়েছেন। প্রতিটি বিল বাবদ প্রকৌশলীকে ৩%, আলাউদ্দীনকে ২% এবং সার্ভেয়ারকে ১% টাকা দিলেও আমি তাদের নিকট থেকে হ্যারাজমেন্টের শিকার হয়ে থাকি। নির্মিত ভূমি অফিসের ডিজাইন মতো কাজ হওয়ার পরও বিভিন্ন জায়গায় ৩ বার ভাঙা হয়েছে। ঠিকমত কাজ শেষ হলেও আব্দুল মতিন নামের কনসালটেন্ট এসে নানারকম ভুল ধরেন। উপজেলা প্রকৌশলী ও এসও মিলে দাবি করে যে, তুমি হারুনের কাছে ২০ টাকা পাঠাও। আমি সেটিও পূরণ করেছি। তারপরেও থানা ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল বার বার আমার নিকট থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্য পরিদর্শনের নামে হয়রানি করে থাকে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আমি রোববার থানা ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে বাওট ভূমি অফিসে যাই। এ সময় ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে সঙ্গে নিয়ে যায়। নির্মিত অফিসে ঢুকে শহিদুল ইসলাম নানা ভুল ধরে কাজের মান নিয়ে, বিশেষ করে টাইলস এবং গেটের কাজ ভালো হয়নি বলে ইঙ্গিত করেন।
এক্ষেত্রে তিনি (শহিদুল) বলেন, ‘আপনি কাজ নিয়ে অনেক ভুগেছেন। আপনি ১০ হাজার টাকা স্যারকে দিয়ে ডেলিভারি করিয়ে নেন।’ এ কথা শোনার পর আমি বলেছি, ‘কোনো টাকা পয়সা দিতে পারবো না। আমি প্রয়োজনে ডিসি, ইউএনও ও হেড অফিসে গিয়ে অভিযোগ করবো। আপনাদের ঘুষ নেওয়ার কথা আমি জানাবো।’ এই কথায় শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তুই যা পারিস তাই কর।’ একপর্যায়ে আমি চলে আসি। বর্তমানে আমাকে হেয় ও মান সম্মানের দিক ভেবে সংবাদ সম্মেলন করেছি।
অভিযুক্ত উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল হোসেন জানান, আমাকে ডেকে নিয়ে জনসম্মুখে অপমান করা হয়েছে। আমার সামনে আমার সহকর্মী শহিদুলকে মারপিট করা হয়েছে। আমাকেও গালাগালি করা হয়েছে। আমি বিভাগীয়ভাবে এই অন্যায়ের বিচার চাইবো। পাশাপাশি গাংনী থানায় আমি ঠিকাদার মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করবো।