শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১২, নিখোঁজ অনেকে

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:১০

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে একটি ভূমিধসে ১২ জন নিহত এবং ২২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধস হয়। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসাবশেষ, উপড়ে পড়া গাছ ও কাদা অপসারণের চেষ্টা করছেন জীবিতদের বের করে আনার জন্য।

দেশটির দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সেলাঙ্গর রাজ্যের একটি রাস্তার পাশে ক্যাম্পিং সুবিধাসহ একটি জৈব খামারে। ভূমিধসে ৯০ জনের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৯ জনকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ২২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে সেলাঙ্গর রাজ্যের একটি রাস্তার পাশে ক্যাম্পিং সুবিধাসহ একটি জৈব খামারে।

বাতাং কালি জেলার পুলিশ প্রধান সুফিয়ান আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই মালয়েশিয়ান এবং তাদের মধ্যে ৫ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। 
দমকল বিভাগের পরিচালক নোরাজাম খামিস জানিয়েছেন, ক্যাম্পসাইটের প্রায় ৩০ মিটার উপরে একটি পাহাড় থেকে একটি ভূমিধসে প্রায় এক একর এলাকা সমতল হয়ে গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে বাটাং কালি জেলার একটি মনোরম পাহাড়ি এলাকা গেন্টিং হাইল্যান্ডের কাছে এই বিপর্যয় ঘটেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গ গেন্টিং হাইল্যান্ডস একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।   

 প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গ গেন্টিং হাইল্যান্ডস একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

প্রত্যক্ষদর্শী তেহ লিন জুয়ান (২২) জানান, ভূমিধসের সময় তিনি আরও ৪০ জনের সঙ্গে ক্যাম্পে ছিলেন। তার এক ভাই মারা গেছেন এবং আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, 'আমি বজ্রপাতের মতো একটি বিকট শব্দ শুনলাম এবং তারপরে পাথর পড়তে শুরু করল। আমি অনুভব করলাম তাঁবুটি আলগা হয়ে আসছে এবং আমাদের চারপাশে মাটি পড়ে যাচ্ছে। ভাগ্যক্রমে আমি তাঁবু থেকে নিরাপদ স্থানে যেতে পেরেছি। আমি ও আমার মা হামাগুড়ি দিয়ে দূরে গিয়ে নিজেদের বাঁচিয়েছিলাম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জালিহা মুস্তফা

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জালিহা মুস্তফা জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাজ্য সেলাঙ্গর অতীতে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন উজাড় ও পাহাড় কাটার কারণে এসব ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।

এ অঞ্চলে এখন বর্ষা মৌসুম হলেও ওই রাতে কোনো ভারী বৃষ্টি বা ভূমিকম্প হয়নি। ভারি বর্ষণের কারণে এক বছর আগে দেশের সাতটি রাজ্যে বন্যায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

ইত্তেফাক/ডিএস