মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশ

৬ বছর পর সচল হলো এক্স-রে মেশিন

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৪

দৈনিক ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশের কারণে দীর্ঘ ৬ বছর পর চালু হলো বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন। গত বছরের ৩০ আগস্ট ‘বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন’ শিরোনামে ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

জানা যায়, পাঁচ বছর আগে পুরোনো এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়লে ইউএনও বরাবর আবেদন দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় সরকার ও জাইকার সহযোগিতায় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ে এক্সে-রে মেশিন ক্রয় করা হয়। উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা ওই এক্সে-রে মেশিনটি স্থাপনার জন্য বিভিন্ন সমস্যা থাকায় এটি হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকে ১৯ মাস। পরে নতুন করে আবার ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর মেশিনটি হাসপাতালের নির্দিষ্ট কক্ষে বসানো হয়। তবে মেশিনটি স্থাপন করা হলেও যন্ত্রাংশের ঘাটতি থাকায় চালু করতে পারেনি আরও ৪ মাস। অবশেষে ২ জানুয়ারি চালু করা হয় মেশিনটি। 

ছবি: ইত্তেফাক

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক ইত্তেফাককে বলেন, মেশিনটি ক্রয়ের ১৯ মাস পর বসানো হলেও ক্রয়কৃত কোম্পানির কাছে লাখ টাকা বাকি থাকায় কোম্পানি মেশিনের একটি যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। তাই মেশিনটি স্থাপিত হলেও কয়েক মাস চালু করা সম্ভব হয়নি। ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশের ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে কাজটি দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে বুকের এক্স-রের জন্য ৭০ টাকা এবং হাত-পা ভাঙার জন্য ৫৫ টাকা সরকারি ফি দিয়ে রোগীরা সহজেই এক্স-রে সেবা নিতে পারবে।

ইত্তেফাক/পিও