মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

জাপান থেকে ‘সাবধান’ হতে অস্ট্রেলিয়াকে চীনের সতর্কতা

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৩২

চীন মঙ্গলবার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সারিবদ্ধ হওয়ার আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের যুদ্ধাপরাধের কথা মনে রাখা উচিত। অস্ট্রেলিয়ার মধ্য-বামপন্থী সরকার চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করছে, যা পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের অধীনে যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। খবর সিএনএনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি চীনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানের সঙ্গে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যাকে প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিংয়ের ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ার মধ্য-বামপন্থী সরকার চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করছে, যা পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের অধীনে যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত জিয়াও কিয়ান জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের কারণে ক্যানবেরার জাপানকে বিশ্বাস করা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান অস্ট্রেলিয়া আক্রমণ করেছিল, ডারউইনকে বোমা মেরেছিল এবং অস্ট্রেলিয়ান যুদ্ধবন্দীদের গুলি করে হত্যা করেছিল।
 
'চীন অস্ট্রেলিয়ার বন্ধু' এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে কি ঘটতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কেউ আপনাকে একবার হুমকি দিলে সে আবারও হুমকি দিতে পারে।'

অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত জিয়াও কিয়ান

অস্ট্রেলিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হলে জিয়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রকে জানিয়েছিলেন, চীনকে 'সতর্ক' থাকতে হবে। চীন ২০২০ সালে বার্লি এবং ওয়াইনের মতো মূল অস্ট্রেলিয়ান রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করেছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনার মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান কয়লার আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সরকার বারবার চীনের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের উত্স সম্পর্কে একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য চাপ দিয়ে চীনকে ক্ষুব্ধ করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হলে জিয়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জিয়াও স্বীকার করেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য 'ব্যহত' হয়েছে। তবে তিনি আশাবাদী যে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

ইত্তেফাক/ডিএস