পটুয়াখালীর দশমিনায় সরকারি কার্যালয়কে দলীয় অফিসের সাজে সজ্জিত করে রেখেছে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। উপজেলা পরিষদ লেখা সাইনবোর্ড ঢেকে দিয়ে ব্যানার আর ফেস্টুনে ভরিয়ে রেখেছে সামনের মূল ফটক। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ের চিত্র উল্টো, দেখে হয় কয়েক মাসে তা খোলা হয়নি।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে পুরো উপজেলা পরিষদ চত্তর এভাবে সাজসজ্জায় ভরিয়ে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, এটা যেহেতু সরকারি অফিস, তাই এ বিষয়ে আমি একটু সংযত হতে বলেছি। কিন্তু উল্টো তারা আমাকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছে। ছোট ছোট বাচ্চারা এসে ছবি তুলছে এবং সংরক্ষিত যায়গায় যার যার মতো করে কাজ করছে দেখতে আমার খারাপ লাগে। এটা নিয়ে আপাতত আমার কিছু বলার নেই। তবে উপদেষ্ঠা আমাদের সংসদ সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছেন, তারা যে সিন্ধান্ত নেবেন আপাতত আমি এটা মেনে নিচ্ছি।
জানা যায়, দীর্ঘ ৫ বছর পরে দশমিনা উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই সভা উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজন করা হয়েছে। বর্ধিত সভাকে ক্রেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকেই উপজেলা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা পোস্টার ও ফেস্টুন দিয়ে পরিষদের সাইনবোর্ডসহ সকল জায়গা ভরিয়ে রাখা হয়েছে।
সরকারি অফিস, তবে দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে যুবলীগের দলীয় অফিস। সরকারি কার্যালয়ে ফেস্টুন দিয়ে ঢেকে দলীয় কার্যালয়ের মতো সাজ করার বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকে বিষয়টি দেখতে আসেন এবং ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. অরুপ কুমার কর্মকার ইত্তেফাককে বলেন, আজকে আমাদের প্রোগ্রাম শেষ হলে কালকে সকল কিছু সরিয়ে ফেলবো। মাত্র এক দিনেরইতো বিষয়।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ মিয়া ইত্তেফাককে বলেন, আমি এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা ইত্তেফাককে বলেন, যেহেতু আমি ওখানে নেই, তাহলে বলতে পারতাম। সরকারি যে ভবনগুলো আছে, সেখানে আমাদের দলীয় ব্যানার-ফেস্টুন না থাকাই ভালো এবং এটাই শোভন।