মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

থামছে না সোনা পাচার

গত বছর পশ্চিমের তিন জেলার সীমান্তে পাঁচ মণ সোনা উদ্ধার

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫

পশ্চিম সীমান্ত পথে ভারতে সোনা পাচার থামছে না। গত বছর যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত পথে ভারতে পাচারকালে বিজিবির হাতে রেকর্ড পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, চারটি ব্যাটালিয়নের অধীন ভারতে পাচারকালে পাঁচ মণ (১৮০ কেজি ) সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৪২ কোটি টাকা। চলতি বছরের শুরুতেও সোনা পাচার চলছে। 

সীমান্তে ওপার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ থেকে কলকাতাগামী বাস বেনাপোল ষীমান্তের ওপারে পেট্রাপোলে বিএসএফ তল্লাশি করে চালকের সিটের নিচ থেকে ৩০টি সোনার বার উদ্ধার করে। যার মূল্য প্রায় ২ কোটি রুপি। মঙ্গলবার যশোরের শার্শা উপজেলার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে ৩ কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের ছয়টি বড় সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। সোমবার চুয়াডাঙ্গা নস্তিপুর সীমান্ত ১০টি ও মঙ্গলবার মহেশপুরের পদ্মপুকুর থেকে চারটি ও যশোরের অগ্রভুলুট সীমান্ত থেকে ৬৩টি সোনার বার উদ্ধার করেছে বিজিবি।

গত বছর সবচেয়ে বেশি সোনা উদ্ধার করেছে বিজিবির যশোর ৪৭ ব্যাটালিয়ন। এ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, গত বছর তারা ৮৫ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। যার মূল্য ৭৫ কোটি টাকা। এ সময় সোনা পাচারকালে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজিবির খুলনা ২১ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তানভির রহমান বলেন, তার ব্যাটালিয়নের অধীন সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পাচারকালে ১৯টা চালানে ৪৫ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৩২ কোটি টাকা। তিনি জানান, পশ্চিম সীমান্তে পুটখালী সোনা পাচারের অন্যতম রুট। বেশির ভাগ সোনা পুটখালী এলাকা খেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিবির ঝিনাইদহের খালিশপুর- ৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, তার ব্যাটালিয়নের অধীর সীমান্ত এলাকা থেকে ১২টি পাচারের ঘটনায় ৩৮ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য ২৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চার জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। অন্যরা বিজিবির টহল দল দেখে সোনার ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক জানান, তার ব্যাটালিয়নের অধীন সীমান্ত এলাকা থেকে ১২ কেজি ৬৮৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সোরা চোরাচালান রোধে বিওপি গুলো সতর্ক আছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতে সোনার বড় বাজার হচ্ছে কলকাতা। যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্ত থেকে কলকাতা নিকটে। সীমান্তের ওপারে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটগুলো তাদের ক্যারিয়ারের মাধ্যমে যশোরে সোনা পাঠায়। সেখান থেকে ক্যারিয়াররা সীমান্ত পথে ভারতে পাচার করে। বিজিবির এক সূত্র জানায়, ধরা পড়ার পর পাচারকারীরা জিজ্ঞাসাবাদে বলে, চালান প্রতি তারা নির্দিষ্ট টাকা পায়। আর সিন্ডিকেটের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

 

ইত্তেফাক/ইআ