বরগুনাতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চিকিৎসক ডা. মামুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল আনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বরগুনার আবদুল্লাহ আল নোমান নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) মামলাটি করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী আবদুল্লাহ আল নোমানের বাড়ি দখল করে নেন তার সাবেক শ্বশুড় মহিউদ্দিন পান্না। ডা. মামুন অর রশিদ গ্রামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামে থাকায় নোমানের পরিবার বিষয়টির সূরাহা করতে ডা. মামুনের সহায়তা চান।
ডা.মামুন অর রশিদ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামলার বাদী নোমানের কাছ থেকে নগদ চার লাখ টাকা ও ৯ লাখ টাকার আলাদা তিনটি চেক নেন। চিকিৎসক মামুনের পরামর্শ ছিল এ টাকা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে যে একাধিক মামলা রয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া হবে। টাকা ও চেক গ্রহণ করে নোমানকে লিখিত প্রাপ্তি স্বীকার দেন ডাক্তার মামুন। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পরেও নোমানের নামে পারিবারিক মামলা করে তার সাবেক স্ত্রী পপি। সেই মামলায় নোমান চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি কারাগারে যান।
মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি জেল থেকে বের হয়ে ১৪ জানুয়ারি ডা. মামুন অর রশিদের কাছে টাকা ও চেক চাইলে তিনি টাকা ও চেক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মামুন অর রশিদে বলেন, টাকা ও চেক আমার কাছে জমা আছে। আমার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়েছে তখন আমি আদালতে টাকা ও চেক জমা দেবো।