শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

তিস্তাপাড়ে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৫৯

‘বালু খেকোদের দখলে তিস্তা নদী’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন গত ২৮ জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে প্রকাশ হলে টনক নড়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের। অবশেষে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের ২টি মেশিন ও বালু পরিবহনের একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ নামক স্থানে এ অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.আর সারোয়ার। এ সময় তার অফিসের কর্মচারী ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের সময় অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তেলনের সময় দুটি ড্রেজার (শ্যালোমেশিন) জব্দ করা হয়। এছাড়া বালু পরিবহনের সময় আটক করা হয় ট্রাক্টর। এরপর ওইদিন দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ট্রাক্টরমালিক আশরাফুলকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মেশিনের মালিক উপস্থিত না থাকায় জব্দ করা মালামাল থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে প্রতি বর্ষা মৌসুমে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয় শত শত বসতভিটা ও ফসলি জমি। নদী ভাঙন রোধে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিলেও কিছু বালুখেকো তিস্তা নদীতে মাসের পর মাস অবৈধভাবে ড্রেজারমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। শুধু বালু উত্তোলনই নয়, নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন বালুখেকোরা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী তীরের বসবাসরত পরিবারগুলো।

এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করায় অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে তিস্তাতীরের বসবাসকারী পরিবারগুলো মাঝে। তবে আতঙ্ক দূর হয়নি।

কুটিরপাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, অভিযানের পর হয়তো কয়েক দিনের জন্য বন্ধ থাকে বালু উত্তোলন ও পরিবহন। কিছুদিন পর সুযোগ বুঝে বালুখেকোরা আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার মতে, এ ধরনের অভিযান শুধু কুটিরপাড় এলাকায় নয়, পুরো উপজেলায় পরিচালনা করা জরুরি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও জি.আর সারোয়ার জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইত্তেফাক/এসকে