বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাঝরাতে ঘুম ভাঙে, আর ঘুম নাহি আসে

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:০৬

আজকাল ঘুমের সমস্যা প্রায় সবারই আছে। রাতে একবার ঘুম ভেঙে গেলে আবার ঘুমানো কঠিন। তখন বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে করতেই কেমন অশান্তি লাগে। একজন ব্যক্তি কোনো ব্যাঘাত ছাড়াই একটানা ৯০ মিনিট ঘুমাতে পারেন। এই সময়ের পর ঘুম হালকা ও গাঢ় এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু এইযে ঘুম ভেঙে যাওয়া আর ঘুম না আসা, এই সমস্যা থেকে বাঁচবেন কিভাবে? সেটাই জানাচ্ছি আজ

ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রচুর পানি খেতে নেই

শীতে তো এমনিই কম পানি পান করা হয়। আবার অনেকে বাড়ি ফিরে রাতের দিকে প্রচুর পানি পান করেন। এভাবে তারা ভাবেন তাদের শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার আগে বেশি পানি খেলে প্রস্রাবের চাপ আসে ঘন ঘন। তখন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

ঘড়ির হিসেব বাদ দিন

রাতে আচমকা ঘুম ভেঙে গেলেই সবাই সময় দেখার চেষ্টা করেন। মাথার কাছেই তো ফোন। সে ফোনে সময় দেখার পর অনেকেই মানসিকভাবে ভাবেন বেশিক্ষণ ঘুমানো যাবেনা। আবার অনেকে ভাবেন, এই শেষরাতে ঘুম ভাঙলো! মানসিক এই যন্ত্রণার কারণেও কিন্তু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

অ্যালকোহল পানে ঘুম নয়

এখন অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে, অ্যালকোহল পানে ঘুম ভালো হয়। তাই ঘুমানোর আগে অনেকেই এই পানীয় পান করেন। কিন্তু এটি ক্ষতিকর। ট্রিপটোফ্যান নামক এক যৌগ আমাদের ঘুম আনতে সাহায্য করে। এই যৌগের ক্ষরণ আটকে দেয় অ্যালকোহল। সেজন্য অ্যালকোহলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

পোষ্যকে কাছে রাখবেন না

ঘুমের সময় পোষ্যকে অনেকেই কাছে রাখেন। এমনটা করা উচিত নয়। পোষ্যের লোম নাকে-মুখে ঢুকলে বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে আপনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে।

বিছানার অবস্থা ভালো রাখুন

অস্বাস্থ্যকর বিছানায় ঘুমোনো যায় না। অনেকে ঘুমোনোর আগে বিছানা ঝাড়েন না আবার বিছানায় পোকামাকড় বিশেষত ছারপোকার উপদ্রব থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেই। তাই বিছানার অবস্থা ভালো রাখার দিকে মনোযোগ দিন।

ইত্তেফাক/এআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন