মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

কলেজ ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:২৬

শরীয়তপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ কলেজ ছাত্রের আহতের ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুর সদরে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ সময় একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ।

ছাত্রলীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ সূত্র জানায়, বুধবার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম ক্লাস হওয়ায় তিনটি শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টশন ক্লাস করছিলেন শিক্ষকরা। এসময় ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের নেতা কর্মীরা একইসময় আলাদাভাবে মহড়া দিলে। ১২টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় ও দুই পক্ষই চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতি ও লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জরায়। সংঘর্ষে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, হাসিবুর রহমান, স্বরন, স্নাতক পাস কোর্সের শিক্ষার্থী কাজী সুজন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ আহত হয়।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বছর মে মাসে ছাত্রলীগের নেতারা এক শিক্ষককে মারধর করেন। ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়ের করে। এর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর নতুন কমিটিতে স্থান পেতে বিরোধে জরায় দুই পক্ষ। 

জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মহসিন মাদবর বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন কলেজে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করছিল। ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের ধাওয়া করেছে। তখন নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগের কোন গ্রুপিং নেই। কলেজের ঘটনার জন্য বিএনপির লোকজন ও কিছু বহিরাগত জড়িত। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা মার খেয়েছে।

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, একাদশ শ্রেণির অরিয়েন্টেশন ক্লাস চলছিল। তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা ক্যাম্পাসের বাহিরে মারামারিতে জড়ায়। এমন ঘটনাটি কেন ঘটানো হল তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে কোন ছাত্র জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নেতাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ বিশৃঙ্খলা না করে।

ইত্তেফাক/এমএএম