বসন্তবরণ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাসন্তী রঙের পোশাক পরে প্রিয়জনের সঙ্গে বসন্তকে বরণ করে নিতে প্রতি বছর টিএসসি মুখর হয়ে ওঠে রঙিন ছোঁয়ায়। বসন্তকে বরণ করে নিতে রঙিন পোশাকের সাজে চারিদিক রাঙা হয়ে উঠলেও টিএসসির মলিন দেয়াল আর চায়ের দোকানগুলোতে ছিল না রঙের ছোঁয়া।
চায়ের টংগুলোকে রঙিন করে তোলার এক শৈল্পিক চিন্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯-এর বিজয়ী শিরিন আক্তার শিলার মাথায় আসে ২০২২ সালে। রিকশা-চিত্র আর চায়ের দোকান - ভিন্ন দুই ধারণাকে এক সুতোয় গেঁথে তিনি চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জেরিন সিন্থী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সীমান্ত সাহাকে সাথে নিয়ে টিএসসির চায়ের দোকানগুলো রাঙিয়ে তোলেন। ঐতিহ্যবাহী রিকশা-চিত্র যা আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, আঁকা হয় দোকানগুলোর ছোট ছোট দেয়াল, বেঞ্চ, টেবিল এমনকি পাশের ডাস্টবিনেও।
তাদের এই উদ্যোগটিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে এবং টিএসসিতে আনন্দ উদযাপন করতে আসা মানুষগুলোর সাথে সাথে চা-বিক্রেতাদের বসন্তও বর্ণিল করতে হাত বাড়ায় এশিয়ান পেইন্টস। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ-এর সৌজন্যে এই তরুণ দলটি উদ্যোগ নেন ‘চায়ের কাপে রিকশা-চিত্র’-এর দ্বিতীয় অধ্যায় ‘চায়ের কাপে বাংলার মুখ’ শুরু করার; এই অধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতাসহ সব রঙ সরবরাহ করে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতেও ‘চায়ের কাপে রিকশা-চিত্র’ উদ্যোগের শিল্পীদের পাশে থাকার ও পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস দিয়েছে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ। এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতাসহ সকল রঙ সরবরাহ করে তরুণ শিল্পীদের স্বপ্নপূরণের এই যাত্রার সঙ্গী হওয়ার জন্য এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ-এর সহযোগিতাকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিরিন আক্তার শিলা।
এছাড়াও তিনি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই বহুল আলোচিত সময়ে আজো আমরা আমাদের সংস্কৃতিতে লালন করি, আমরা হারিয়ে যাই নি অন্য কোন স্রোতে, বলতে চাই আমরা এখনো বাংলার মূল আঁকড়ে ধরে আছি, একে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই।”