শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সমাবর্তন ঘিরে জাবিতে উৎসবের আমেজ, স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ১৬ শিক্ষার্থী

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২০

সাত বছর পর আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে মোট ১৫ হাজার ২১৯ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করবেন। ফলে সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে সবগুলো বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১৬ জন শিক্ষার্থীকে তিন ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তনের মূল আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এছাড়া গতকাল গ্র্যাজুয়েটরা গাউনসহ অন্য উপহার সামগ্রী সংগ্রহ করতে ক্যাম্পাসে ভিড় করেন। তাদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য মোট ১৫ হাজার ২১৯ জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার  ৪৪৪ জন, উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৩ হাজার ৪৬১ জন ও এমফিল ডিগ্রির ৩৪ জন ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন। একারের সমাবর্তনে মোট ১২ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অর্থায়ন করবে ১ কোটি টাকা। সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন এবং অভ্যন্তরীণ খাত থেকে বাকি টাকা জোগান দেওয়া হবে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে প্রধান অতিথি থাকবেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং সমাবর্তন বক্তা থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সমাবর্তনে ‘আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক’, ‘শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক’ ও ‘মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড গোল্ড মেডেল’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে স্নাতক ক্যাটাগরিতে ৮ জনকে ‘আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক’ এবং স্নাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে সাত জনকে ‘শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক’ দেওয়া হবে। এছাড়া দর্শন বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফলধারী এক জনকে ‘মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড স্বর্ণপদক’ দেওয়া হবে। স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের কামরুন নাহার (২০১৭), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম (২০১৩), মোছা. শামীমা খানম (২০১৪) ও বদরুন্নাহার দীপা (২০১৮), পরিসংখ্যান বিভাগের মুহাম্মদ খায়রুল আলম (২০১৯), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের উর্মি দাস (২০১৫), অর্থনীতি বিভাগের ইসতিয়াক রায়হান (২০১৬), মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তানজিনা আক্তার (২০১২) ও মুমতারিন জান্নাত ঐশী (২০১৬), ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) রাতুল কুমার সাহা (২০১৩), বি এম মুহিত সাঈফ (২০১৮) ও রাদিআহ হাসান (২০১৯), ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ফারিহা আফসানা (২০১৪), প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের উম্মে মাহফুজা শাপলা (২০১৫), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের জান্নাতুল হুসনা তুয়া (২০১৭) এবং দর্শন বিভাগের সাথী আক্তার (২০১৮)।

ইত্তেফাক/ইআ