রবীন্দ্রনাথ আর কাদম্বরী ছিলেন দু’জন দু’জনার। বলা হয়ে থাকে, রবির সাহিত্যের পেছনের মানুষ ছিলেন কাদম্বরী। কিন্তু সেই কাদম্বরী যদি বলেন, লেখাগুলো তাঁরই-রবি ছিলেন শ্রুতিলেখক মাত্র। আর ঠাকুরবাড়ির কারসাজিতে তা প্রকাশিত হতো রবির নামে! তিনি আরো জানাচ্ছেন, রবির সাথে সহমরণের আগ পর্যন্ত তিনি অবিরাম লিখে গেছেন, অথচ ঠাকুরবাড়ি তাঁর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে বাইরে রটিয়ে দেয়। চেপে রাখা ইতিহাসের সেই দমবন্ধ করা কাহিনী নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল টেগোর এওয়ার্ড জয়ী ধ্রুপদী লেখক ফয়েজ তৌহিদুল ইসলামের পদ্যময় গদ্যে লেখা অনন্য উপন্যাস ‘ঠাকুরবাড়ির গোপন ডায়রি-কাদম্বরী দেবী’। বইটি এবারের বইমেলায় নিয়ে এসেছে আগামী প্রকাশনী। মুদ্রিত মূল্য ছয়শ টাকা।
কাদম্বরীর সাথে রবির বাল্যপ্রেম, রবির মেজদাদার বালিকাবধূ হিসেবে তাদের ঘরে অনুপ্রবেশ, রবির অন্যত্র বিয়ে উপলক্ষে তার আত্মহত্যার নাটক সাজানো-জীবনের এই তুমুল উত্থানপতনের মাঝে এগিয়ে চলা সাতিহ্যসাধনা-সাহিত্যে রবির বিশ্বস্বীকৃতি-এই সবই রবি, রবির পরিবার ভাবত, উপভোগ করতো এক সফল জীবনের গল্প হিসেবে। কিন্তু ন’ই শুধু জানতো, এ জীবন দেবীর রচিত জীবননাট্য তাদের অভিনয় মাত্র। এসবের বিস্তারিত রয়েছে ফয়েজ তৌহিদুল ইসলামের বইয়ে।
লেখককে শুধুমাত্র বাঙালি লেখক বললে তাঁর পরিচয় পরিস্কার হয় না। আগে তার ঠিকানা ছিল মার্কিন মুলুকে, তারও আগে লন্ডনে, আরও স্পষ্ট করে বললে, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তার স্থায়ী ঠিকানা একটাই বাংলা, বাংলাদেশ, বাংলাভাষা। পড়াশোনা ও চাকরিসূত্রে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি। তার উপন্যাসগুলোর মধ্যে ইহকালে এইসব হয়, সড়ক নম্বর আনন্দ, বাড়ি নম্বর বেদনা, মুনিরা মারা গেছে, রবির দ্বিতীয় বিয়ে উল্লেখযোগ্য।