মাদারগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ‘সেক্রেটারি’ পরিচয়ে দিয়ে গত বুধবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার মির্জা রওশন আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জা রওশন আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর মোবাইল ফোনে একটি নাম্বার থেকে নিজেকে জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ‘সেক্রেটারি’ নাদিম মোস্তফা পরিচয় প্রদান করে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মির্জা রওশন আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মৌলভি শিক্ষকের জন্য বিনামূল্যে হজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেজন্য ভিসা প্রসেসিং বাবদ তাকে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান এমপির সেক্রেটারি পরিচয়ে নাদিম মোস্তফা। পরে প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি সন্দেহ হলে সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে জানালে তিনি বিষয়টি ভিত্তিহীন ও প্রতারণা বলে আশ্বস্ত করেন। এবং তাকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু বলেন, ‘মির্জা আজম এমপির সেক্রেটারি পরিচয়ে চাঁদা দাবি করার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মাহবুবুল হক বলেন, এমপির সেক্রেটারি পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতারককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।