মা হওয়া যেমন সুখের তেমনি সন্তানকে বড় করতে একজন মাকে পালন করেতে হয় অনেক দায়িত্বও। সেই দায়িত্বের সঙ্গে তাকে আরও সামাল দিতে হয় পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র দুটোই। এত কিছু সামলে নিজের জন্য একটু ফুরসত বের করাটা কঠিন হয়ে যায় বেশির ভাগ মায়েদের জন্য।
তাই বলে কি মায়েরা কিছুটা সময় নিজেদের দিকে না তাকিয়ে সমস্ত কাজের চাপে কেবল হিমশিম খাবেন? না অবশ্যই! কিছু সময় মা আয়নায় নিজেকে দেখুক স্বস্তি নিয়ে। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় এর প্রতি খেয়াল রেখে চললে অনেকটাই সহজ ও সুন্দর হতে পারে প্রত্যেক মায়ের জীবন। চলুন জেনে নেই বিষয় গুলো সম্পর্কে-
- দশ হাতে দশ দিক সামলাতে হবে মাকেই এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও অর্থ নেই। এতে মায়েদের ওপর চাপ বেড়ে যায়। তাই সব সময় আমি মা, আমাকেই সব কিছু করতে হবে। এমন ভাবনার ছুটি দিয়ে সঙ্গীর সাথেও কিছু কাজ ভাগ করে নেওয়া ভালো।
- মায়ের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি, সারা দিনের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা, ত্বকের যত্ন, পর্যাপ্ত ঘুম এর দিকে খেয়াল থাকতে হবে।
- ছোট পরিবারে বাচ্চাকে বড় করে তোলার জন্য তেমন কেউ না-ও থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে শিশুর যত্নে মায়ের পাশাপাশি বাবাকেও ঘরের কিছু দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।
- মা হওয়া মানেই সব পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কর্মক্ষেত্রে এবং বাড়িতে, দুই জায়গাতেই ভারসাম্য রেখে চলতে গেলে কিছু বিষয়ে ‘না’ বলতে পারা জরুরি।
- পরিবারের সব দায়িত্ব পালন করার পর, নিজের শখ পূরণ করাটাও জরুরি। অনেক নারী মধ্যে নাচ, গান, আঁকা, আবৃত্তি, গল্পের বই পড়ার মতো ছোট
- ছোট শখ থাকে যা তারা সংসারে মায়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনায়াসে বিসর্জন দেন। কিন্তু মা হিসাবে সব দিক সামাল দিতে গেলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও জরুরি। তাই নিজের শখ পূরণেও একটু গুরুত্ব দেয়া জরুরি।