নাটোরের গুরুদাসপুরে যুবলীগ কর্মী হেলাল সরদারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলীসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা হেনা বেওয়া। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত হেলাল সরদার উপজেলার খামারনা চকৈড় এলাকার মৃত সাখাওয়াত সরদারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন তোহা জামাদার (২২), তুহিন হোসেন (৩০) ও আকাশ।
জানা যায়, গত মাসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে মেয়র সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহের ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সমর্থিত যুবলীগ কর্মী হেলাল সরদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে নিহত হেলাল ও তার ছোট ভাই শিশিরসহ কয়েকজন আবু তাহেরকে কুপিয়ে জখম করে। এরই জেরে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার চাঁচকৈড় বাজারে হেলাল ও তার ভাই শিশিরকে (২৬) কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলাল শেখ বলেন, নিহত হেলাল যুবলীগ ও তার ছোটভাই শিশির ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নিহত হেলালের মা হেনা বেওয়া বলেন, মঙ্গলবার মেয়র শাহনেওয়াজ পূর্ব বিরোধের কোন্দল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তার দুই ছেলে শ্রমিক অফিসে কাজে যান। সেখানে মেয়রের নির্দেশে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়। ছোট ছেলেও জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
অভিযুক্ত মেয়র শাহনেওয়াজ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিহত হেলাল ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহেরকে কুপিয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসাও করে দিয়েছেন। তারপরও আবু তাহেরের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হেলালের ওপর হামলা করে। মূলত আগামী নির্বাচনে তার মনোনয়ন আটকাতেই এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনার পর পরই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।