সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উফতিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গ্রামের সাইফুল মিয়াসহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে গ্রামের আমির আলীর পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গ্রামের ৪ গোষ্ঠীর চাপে অন্যত্র অবস্থান করছিলেন আমির আলীর পরিবার। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় এক আত্মীয় মারা গেলে লাশ দাফন করতে গ্রামে আসেন আমির আলী ও তার স্বজনরা। বুধবার দিনে আমীর আলীর বাড়িতে বহিরাগত কিছু লোকজন আসেন। তাদের সঙ্গে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে এমন খবর প্রচার হলে গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসী কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে ৯টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় গ্রামের অপর গোষ্ঠীর লোকজন হামলার প্রতিরোধ করতে চাইলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নূর আলম (৩৫), উস্তার উল্লার ছেলে আলীপাশা (৪০) ও মনর উদ্দিনের ছেলে ফজলু মিয়া (৩০) গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
এছাড়া একজন নারীসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আহতরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুবাশীষ ধর বলেন, পরিবেশ এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
