রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া বটতলা এলাকায় ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিনের বাসা হামলা অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ মার্চ) রাত পর্যন্ত তিন দফায় হামলার ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হন।
হামলার ঘটনায় শনিবার (১৮ মার্চ ) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, নগরীর সাগরপাড়া এলাকার ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন ও তার সহোদর শামীম ও পরিবার দীর্ঘদিন ঘরে বিহারিদের সম্পত্তিতে বসবাস করছেন। তারা ওই জমি বিহারিদের কাছ থেকে কিনেছেন। কিন্তু এই সম্পত্তি দখলের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেন ওই এলাকার ইকবাল হোসেন দিলদার ও তার ঘনিষ্ট বন্ধু নুরু। ভুয়া দলিল করে ১৯৭১ সাল থেকে ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন দিলদারের বাবা মৃত মজিবর রহমান। বর্তমান কিছু সম্পত্তি তার ছেলে দিলদার ও কোরবান আলীর ছেলে নুরু ভোগ করছেন।
শনিবার ফটোসাংবাদিক আজাহারের সহোদর শামীমের ছেলে মধু সাগরপাড়া বটতলা গলির ভেতরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এসময় নুরু ও তার ভাড়াটে বাহিনী বাকবিতণ্ডার একপযার্য়ে ভাড়াটে বাহিনীরা মধুকে মারধর করে। পরে মধুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতে রোববার রাতে আবারও নুরুর নেতৃত্বে তার ভাড়াটে বাহিনী হকি, লাঠিছোটা নিয়ে শামীমের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
দফায় দফায় হামলার পরও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় সোমবার রাতে একইভাবে আজাহার উদ্দিনের আবার হামলা চালায়। এতে আজাহার উদ্দিন, তার স্ত্রী শবনম, ভাতিজা মামুনসহ ১০ জন আহত হন।
এ ব্যাপরে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ঘটনার পর কয়েক দফায় সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমি দেখছি। তারা যে অভিযোগ করেছেন সেই অভিযোগটি মামলা আকারে রেকর্ড করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।