শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা। এমনকি রিপ্রেজেন্টেটিভের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে রোগীর প্রেসক্রিপশন ছিঁড়ে ফেলার। পুরো হাসপাতালই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দখলে। চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হতে না হতেই তারা রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি শুরু করে। জোরপূর্বক রোগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে মোবাইলে ছবি তোলে। একজন ছবি তুলতে না তুলতেই আরেকজন টানাটানি শুরু করে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনে ওষুধ কোম্পানির ২০-৩০ জন প্রতিনিধি অবস্থান করছে। রোগীর প্রেসক্রিপশন দেখতে গিয়ে ছিঁড়েও ফেলেছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অনেকেই আবার মোবাইল নম্বর দিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের বিভিন্ন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেয়। এতে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের চেম্বারের বাইরেও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ওষুধের দোকানগুলোতে এসব প্রতিনিধি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অনেক সময় ডাক্তারের চেম্বারে বসে গল্প করে। ফলে রোগীদের অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
জানা যায়, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসককে মূল্যবান উপহার দিয়ে থাকেন। এসব উপহারে বদৌলতে চিকিৎসককে তাদের কোম্পানির ওষুধের নাম লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপঢৌকনের লোভে চিকিৎসকরা নিম্নমানের ওষুধ লিখে দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী কয়েকজন রোগী বলেন, ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হতে না হতেই কিছু লোক প্রেসক্রিপশন দেখতে চায়। চলে যেতে চাইলে জোর করে টেনে নিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান ইবনে আমিন বলেন, তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। তদারকিও করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।