শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঘুসি, বর্ণবাদের বিষ ছড়ানো ম্যাচে তিন লাল কার্ড

আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩১

একটা ফুটবল ম্যাচ যে মুহূর্তেই যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে রইল জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের মধ্যকার কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালের প্রথম লেগটি। জুভেন্টাসের ঘরের মাঠের ম্যাচটি আর ১০টা সাধারণ ম্যাচের মতোই শান্তভাবে শেষের পথে হাঁটছিল। নির্ধারিত সময়ের পর চলছিল যোগ করা সময়ের খেলা। তখনো ১-০ গোলে এগিয়ে থাকায় জুভেন্টাস সমর্থকরা হয়তো উদযাপনের প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই রেফারির একটা লম্বা বাঁশি জুভেন্টাসের খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থকদের বুক কাঁপিয়ে দেয়। পেনাল্টি পায় ইন্টার মিলান।

যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি গোল করে ইন্টার মিলানকে সমতাও ফেরান বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু। বিপত্তিটা বাধে এরপরই। মুহূর্তেই শান্ত পরিবেশের ফুটবল ম্যাচটা হয়ে উঠে রণক্ষেত্র। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পাশাপাশি ঘুসিও চলে। মুহূর্তেই রেফারি পকেট থেকে তিন বার বের করেন লাল কার্ড। মানে মুহূর্তেই তিন জনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। বিপত্তির শুরুটা লুকাকুর গোল উদযাপনের মাধ্যমে। অন্তিত সময়ে গোলটি করেই লুকাকু জায়গায় সটান দাঁড়িয়ে মুখে হাত দিয়ে ‘মুখ বন্ধ’ রাখার ইঙ্গিত করেন। ম্যাচ চলাকালে লুকাকু বল ধরলেই জুভেন্টাস সমর্থকরা বর্ণবাদী স্লোগানে উত্ত্যক্ত করে থাকে। তার প্রতিবাদ হিসেবেই গোলের পর লুকাকু জুভেন্টাস সমর্থকদের ‘মুখ বন্ধ’ রাখার আহ্বান জানিয়ে উদযাপন করেন।

কিন্তু রেফারি লুকাকুর প্রতিবাদের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। বরং সমর্থকদের সঙ্গে লুকাকুর আচরণ সংযত ছিল না-এই অভিযোগে তাকেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেন রেফারি। ইন্টারের খেলোয়াড়রা লুকাকুর পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।  বসে না থেকে জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রাও পালটা প্রতিবাদ জানালে জটলা বেধে যায়।  চলতে থাকে তর্কাতর্কি। এর মধ্যেই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু তাতে বাগিবতণ্ডা থামেনি। উল্টো ঐ জটলার মধ্যেই ইন্টারের গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ ও জুভেন্টাসের কলম্বিয়ান উইঙ্গার হুয়ান কুয়াদ্রাদোর মধ্যে লেগে যায় যুদ্ধ। প্রথমে মুখের, পরে হাতের। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক ফাঁকে হঠাৎই হান্দানোভিচের মুখে ঘুসি বসিয়ে দেন কুয়াদ্রাদো। রেফারি লাল কার্ড দেন দুজনকেই।

ইত্তেফাক/এসএস