বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইবির বিএড ও এমএড ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর)-এর অধীন বি.এড, এম.এড ও লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইইআরের পরিচালক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছুরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে এর মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় (হিসাব নং-৬৯৪৭) জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ ভর্তি হতে ব্যর্থ হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। এছাড়া ফলাফল ও ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

এরআগে, গত শনিবার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর বিএড কোর্সে ৭৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ২৮২ জন। এমএড কোর্সে ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৪৬ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪৫ জন এবং ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরী অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স কোর্সে ৮০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৫৭ জন ভর্তিচ্ছু। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪৭ জন। এরমধ্যে এমএড ও লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী সবাই ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

আসন সংখ্যার থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা কম হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইআইইআরের পরিচালক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান বলেন, যতোদূর শুনেছি একটা সময়ে ইবির লাইব্রেরী সায়েন্সের অনেক চাহিদা ছিল, এখান থেকে পাশ করলে চাকরি পাওয়া সহজ হয়ে যেতো। এখন  এনটিআরসি আলাদা একটা পরীক্ষার আয়োজন করে। ফলে ইবি থেকে পাশ করলেই চাকরি হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। এমএডও বাধ্যতামূলক না। একারণে দুটোতেই চাহিদা কমে গেছে। তবে বিএড এ অনেক চাহিদা। ফলে এখানে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা। 

প্রচার প্রচারণায় ঘাটতি আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রেগুলার প্রচার প্রচারণা তো চলছেই। তবে এটার নিজস্ব স্বকীয়তা ধরে রাখতে বাণিজ্যিকীকরণ করার পরিকল্পনা নেই।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে আইআইইআর বা রিসার্চ ইনস্টিটিউট হওয়ার কথা ছিল এর জন্য আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের জন্য বাজেট না থাকায় আইআইইআরের নিজস্ব আয় থেকে শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয়। যার ফলে গবেষণা ভিত্তিক কাজগুলো এক অর্থে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটাকে বিশেষায়িত করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দিতে পারলে শিক্ষার্থী বাড়বে সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। 

ইত্তেফাক/এআই