শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

প্রেরণা দিলেন অনুপ্রেরণার বার্তা

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২০:২৭

বর্তমান সময়ের আলোচিত একটি বিষয় ব্লগিং। নিজের পারদর্শিতা উপস্থাপনের অন্যতম মাধ্যম। নানান ধরনের নতুন নতুন কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে পরিচিত করতে পারছে খুব সহজেই। তেমনই একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রুশমিলা মুনজারিন প্রেরনা। তার ভিডিও তৈরির উদ্দেশ্য অন্যের অনুপ্রেরণা হওয়ার। বোর্ড পরীক্ষার হলে, মেডিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলেও সেটিকে নিয়েও ভিডিও নির্মাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ তৈরি করেন। 

প্রেরণার মতে, পরীক্ষার সময় টেনশন এ থাকাটা বাংলাদেশে কালচার হয়ে গেছে। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা তাদের নিত্যদিনের সকল কাজ বাদ দিয়ে দেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি ডিএকটিভ করে ফেলে প্রিপারেশন নেওয়ার জন্য, এটা করা ঠিক নয় । সব বাদ দিয়ে পড়াশুনা করলে ডিপ্রেসন বাড়বে বৈকি কমবে না। 

সে বিবেচনা করতে গেলে প্রেরণা পরীক্ষার সময় কখনই ডিপ্রেসন এ ভোগেননি। কারণ সে প্রিপারেশন এর পাশাপাশি তার শখের কাজ ভিডিও মেকিং, গান করা ইত্যাদি করেছেন এবং প্রচুর আলোচনা -সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। তবে তিনি দমে যাননি কারণ তিনি তার কনটেন্ট ক্রিয়েটিং এর মাধ্যমে "পড়ালেখা দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ, এটিকে জটিল বা আলাদা ভেবে টেনশন এ পড়ার কিছু নেই" এই বার্তা প্রদান করারই চেষ্টা করছেন।

প্রেরণা তার নামের মতোই তার সমাজের সকল মানুষের মাঝে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতে চান , সেই উদ্দেশ্যেই তিনি তার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ৫ নম্বর পাওয়া ফলাফল কনটেন্ট ভিডিও বানানোর মাধ্যমে সবাইকে জানান। কেননা তার ইন্টারমিডিয়েট এ গোল্ডেন আসায় সবাই ভেবেছিল প্রেরণার দ্বারা সব সম্ভব কিন্তু এটি কখনোই সত্যি নয়।  কেননা একজন মানুষের দ্বারা কখনোই সব সম্ভব না । সমাজ একজন মানুষকে দিয়ে সব কিছু আশা করে। এতে করে সেই শিক্ষার্থীদের মাঝে দুশ্চিন্তা কাজ করে ফলে তারা পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করে এমনকি হতাশা ভোগ করেন।

সবশেষে প্রেরণার বার্তা জীবনে সবকিছু সমান তালে চলুক। কোনো কিছুকে নিয়ে আলাদা করে ভেবে চিন্তাগ্রস্ত না করে সময়ের কাজ সময়ে করাই ভালো। সবকিছুর মাঝে নেগেটিভ না খুঁজে পজিটিভ দিক খুঁজে বের করা উচিৎ।

ইত্তেফাক/এআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন