অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় সিন্ডিকেট নেতা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি ফোন করে কয়েক জন সাংবাদিককে বলেন, সাংবাদিকদের হত্যা করেই মহেশপুর ছাড়বো। গত ১০ মে মহেশপুরের বালু সিন্ডিকেটের অবৈধ কর্মকাণ্ডের খবর স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সিন্ডিকেটের হোতা হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের হত্যা করে মহেশপুর ছাড়বেন বলে মোবাইলে হুমকি দেন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার মহেশপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজনের মোবাইলে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বলেন, নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করার সাহস কোথা থেকে পেয়েছিস, মহেশপুরে পা রাখলে মেরে ফেলব।
মহেশপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহমানের মোবাইলে ফোন করে মহেশপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, জেল-ফাঁস যাই হোক না কেন, সাংবাদিক খুন করে আমি মহেশপুর ছাড়ব। রিপোর্ট যতই হোক, সাংবাদিক খুন না করে ক্ষান্ত হব না।
মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের বাসিন্দা হারুন। ২০২১ সালে মহেশপুর হাসপাতালের কর্মরত এক ডাক্তারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সে সময় স্বাচিপ আন্দোলন করে। তখন স্থানীয় এমপির হস্তক্ষেপে ডাক্তাররা আন্দোলন থেকে সরে আসেন। তবে হারুনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল হয়েছে এবং তিনি জামিনে আছেন। গত একযুগ ধরে তিনি ও তার ভাই বালুর ব্যবসা করে আসছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান ও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।