বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চিকিৎসক সংকটে সেবা ব্যাহত বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল

আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, ১১:৩৪

বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।কিন্তু হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) থাকলেও জেলার এই পুরোনো হাসপাতালের ওপর মানুষের আস্থা বেশি। কিন্তু কাগজ কলমে মোট ৪৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ২৯ জন। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির ৩৫ পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালের আউটডোরে গড়ে এক হাজার ৫০০ রোগী সেবা নিতে আসে। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বলা হলেও সব সময় রোগী ভর্তি থাকে দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে বহু রোগী মেঝেতে থাকেন।

সূত্র জানায়, এই হাসপাতালে সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদ রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। যারা কর্মরত রয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ট্রেনিং বা ছুটিতে থাকেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদেও দুটি পদ খালি রয়েছে। ডেন্টাল সার্জনের একটি পদ থাকলেও নেই কোনো চিকিত্সক। মেডিকেল অফিসারও দুজন নেই। মেডিকেল টেকনিশিয়ান তিন জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কেউই নেই। মেডিকেল টেকনিশিয়ান অ্যানেসথেসিয়া তিনটি পদ থাকলেও এই পদেও কেউ নেই। এ ছাড়া কার্ডিওগ্রাফার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই ও ফিজিও পদেও কেউ নেই।

নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার রিকশাচালক বকুল শেখ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে টিকিট কাটতে গিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। টিকিট কাটলেও ডাক্তার পাওয়া যায় না। এতো রোগী আসে যে সেবার বদলে কষ্ট পেতে হয়।

শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা রানী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। চিকিৎসক থাকলেও এতো রোগী থাকে যে অনেক সময় লাগে। এতে কষ্ট হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আগত রোগীদের জন্য পৃথক অবকাঠামো নির্মাণ করে শিশু, নারী ও পুরুষের জন্য একাধিক টিকিট কাউন্টার প্রয়োজন। বর্তমানে রোগীদের জন্য হাসপাতালের মূল কক্ষে টিকিট কাউন্টার চালু থাকায় চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের বিঘ্ন ঘটছে।

বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, এই হাসপাতালে রোগীদের চাপ বেশি। হাসপাতালের আউটডোরে গড়ে এক হাজার ৫০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট থাকায় রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। জনবলের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ইত্তেফাক/আরএজে