শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, টাকার বিনিময়ে ধামাচাপার অভিযোগ

আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, ০১:৩০

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক কিশোরের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্য রহমত উল্লাহ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাইয়ুম বেপারীর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে জানা গেছে, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় ওই কিশোর কিশোরীকে ডেকে এনে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ নিয়ে শুক্রবার (১২ মে) রাতে ইউপি সদস্য রহমত উল্লাহ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাইয়ুম বেপারীর নেতৃত্বে বাড়ির লোকজন মিলে একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিশোরীর বাবাকে আইনের আশ্রয় না নিতে সালিশি বৈঠকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
 
ভূক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের পরিবার অর্থের অভাবে মামলা চালানো অত্যন্ত কষ্টকর। আর মামলা করার জন্য মেম্বারসহ কেউ সহযোগিতা করেনি। তারা সবাই চেয়েছে বিষয়টি সমাধান হোক। এই সুযোগ নিয়ে প্রহসনের সালিশ বৈঠক করা হয়েছে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাইয়্যুম বেপারী বলেন,  গত শুক্রবার মেম্বার রহমত উল্লাহ আমাকে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর দুই পরিবারের পক্ষ থেকে চার জন এবং দুই পরিবারের লোকজন বসে তারা সিদ্বান্ত গ্রহণ করেন। ছেলে-মেয়ে উভয় অপ্রাপ্ত বয়সের এবং সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি। তাই, আমি তাদের থানা বা কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তারা ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে পারিবারিকভাবে মেয়ের চিকিৎসার জন্য ১ লাখ ২০ টাকা দেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে বলে শুনেছি। ওই সময়ে আমি ছিলাম না। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কুদ্দুছ সর্দার।

ইউপি সদস্য রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে এলাকার শান্তির জন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেছেন। কোনো মহলের নির্দেশে করেছেন এমনটি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার জানান, বিষয়টি আমি অবগত নয়। আমার ইউপি সদস্য রহমতউল্ল্যাহ এমন ঘটনার সমাধান না করে ধর্ষিতার পরিবারকে আইনি সহায়তায় দিতে পারতেন।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি জোবাইর সৈয়দ জানান, অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে সকল প্রকার আইনি সহযোগিতা করা হবে।

ইত্তেফাক/পিও