বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই যুদ্ধের আগুন জ্বলছে। এমন পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিয়ে জাপানের হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষমূর্তি উন্মোচন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার (১৯ মে) জাপান পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২০ মে) হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
পারমাণবিক অভিশপ্ত শহর থেকে মোদি বর্তমান যুগে গান্ধীর কথার প্রাসঙ্গিকতা স্পষ্ট করেছেন। এদিন মোদি বলেন, 'হিরোশিমার নাম শুনলে আজও বিশ্বের আতঙ্কিত হওয়া উচিত। এই শহরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচনের একটি বিশেষ বার্তা রয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর শান্তি, অহিংসা ও ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা আজ সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে উজ্জীবিত করছে।'
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিশাপ এখনো বহন করছে হিরোশিমা। ১৯৪৫ সালের ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র ওই শহরে বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। সেই অস্ত্রের আক্রমণে হিরোশিমা প্রায় শ্মশানে পরিণত হয়েছিল। মারা গেছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, কয়েক দশক পরেও তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন সেখানেই রয়ে গেছে। এছাড়া, এদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে আমার খুব ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা ভারত ও জাপানের মধ্যে আন্তঃদ্বীপ সম্পর্কের দিকে নজর দিয়েছি। একই সঙ্গে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্ট এবং জাপানের জি-সেভেন প্রেসিডেন্সি নিয়ে আলোচনা হয়।'
প্রসঙ্গত, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে এটি মোদির চতুর্থ সফর। তিনি গত বছর জার্মানির বাভারিয়ায় গিয়েছিলেন। এর আগে ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে সে কনফারেন্সটি ছিল ভার্চুয়াল।
এর আগে ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যোগ দেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের সম্মেলন বাতিল করা হয়।