সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের খুকনী ইউনিয়নের চরআরকান্দিতে, ব্রাক্ষণ গ্রামও জালালপুর ইউনিয়নের পাকুরতলা গ্রামে যমুনা নদীতে অসময় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। দুই সপ্তাহে বহু ঘরবাড়ি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেক পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের চরআরকান্দি ও পাশের ব্রাক্ষণ গ্রাম যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সহায়সম্বল ও বস্তভিটা হারিয়ে অনেক পরিবারের সদস্য দিন মজুরে পরিণত হয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম জানান, যমুনার অব্যাহত ভাঙনে, তাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। প্রায় পুরো পাড়া এখন নদী গর্ভে। কয়েক দিনের ভাঙনে ব্রাক্ষণ গ্রামসহ চরআরকান্দি গ্রামের অনেক অংশ যমুনা বিলিন হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের বলেন, অসময় ভাঙন দেখা দিলেও আমাদের কেউ কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে না। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কোন জনপ্রতিনিধি আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। চরআরকান্দি ভাঙন কবলিত গ্রামের আবু বক্কার, নুরুজ্জামান গ্যাদন বলেন, আমাদের বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এখন বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই নাই। যমুনার ভাঙনে আমরা মানচিত্র থেকে অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছি।
গ্রামটি ঘুরে দেখা গেছে, যমুনার অব্যাহত ভাঙনে গ্রামের মানুষ কে কোথায় চলে গেছে কেউ জানে না। প্রতিদিন ভাঙছে আর মানুষজন অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এলাকার মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খুকনী ইউপি চেয়ারম্যান মুল্লুকচাঁদ ও জালালপর ইউপি চেয়ারারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, অসময় যমুনা ভাঙন আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে । অর্থ না থাকায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের কোন আর্থিক সহযোগীতা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচরের জন্য জানানো হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, ভাঙনের কথা বিস্তারিত জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।