দেখা গেলো রোদ। ভালোই রোদ। রোদের নিচে গা বেয়ে ঘামের বিন্দু ঝরে পড়ার শিরশির করা অনুভূতি অনেক সময় শরীরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। তখন আকাঙ্ক্ষা থাকে একটু মেঘ জমুক। আচমকা আকাশ নিভু নিভু মেঘে ছেয়ে যায়। বিশেষত সন্ধ্যার পর ধূসর আকাশের দিকে তাকালে আরেক আতঙ্ক কাজ করে। রাস্তায় দ্রুত যাওয়ার পথ বুঝি বন্ধ হলো। বৃষ্টি নামলেই তো যানজট।
বৃষ্টি নামলেই ঢাকা কিংবা শহরাঞ্চলে যানজট বেড়ে যায়। এমনিতেই ব্যস্ত অনেক সড়কে যানজটের কারণে টিকে থাকা দায়। সেখানে বৃষ্টি-বাদলা মানে আরও বেশি দেরি। বৃষ্টিতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার পাশাপাশি রোগশোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কম নয়। এই যানজটের অনেক কারণ আছে।
প্রথমত, জলাবদ্ধতা। এখনো শহরের অনেক জায়গায় সংস্কারকাজ চলছে। এই সংস্কারের কাজ করার পাশাপাশি ড্রেনেজ সিস্টেমের সমস্যায় জলাবদ্ধতা হয়েই থাকে। এমনকি মূল সড়কেও সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। পথচারীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি গাড়ি চলাচলেও সমস্যা হয়। ছোট গাড়িগুলো সাবধানে আগায়। গতি কমিয়ে দিতে হয়। কারণ একবার ইঞ্জিনে পানি ঢুকলেই স্টার্ট বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গাড়ির গতি কমে যাওয়ার ফলে যানজট বেড়ে যায়।
তাছাড়া মূল সড়কেও অনেকে গতি কমিয়ে চালান। গাড়ির ফিটনেস না থাকা ও গণপরিবহনে উইন্ডশিল্ড না থাকায় অনেক সময় গাড়ি আস্তেধিরে এগিয়ে যেতে থাকে। আর এই ধীরগতিতে চালিয়ে যাওয়ার ফলেও অনেক সময় যানজট বাড়ে মূল সড়কে।
এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে। বৃষ্টিবাদল হলেই বাস বা অন্যান্য গণপরিবহনে মানুষের ভিড় বেড়ে যায়। মানুষ আঁতিপাঁতি করে গণপরিবহন খুঁজে বেড়ান। সড়কে মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ার ফলেও অনেক সময় বাসস্ট্যান্ডে জ্যাম বেধে যায়।
বৃষ্টিতে অনেকেই রাস্তায় বের হন। বৃষ্টিতে ছড়িয়ে পড়ে ময়লা। মোটরবাইক যারা চালান তাদের আবার অন্য বিপদ। একটু ঝামেলা হলেই পিছলে মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। তাই বৃষ্টি অনেকের জন্যই বিপদ। যানজট বাড়ারও একটি বড় কারণ।