আধুনিক নারীদের ফ্যাশন হাউজ বলতে এখন হালের যে কয়েকটি ব্র্যান্ডকে আধুনিক ফ্যাশন সচেতন নারীরা পছন্দ করছেন তার একটির নাম ‘সেলাই’। এটি মূলত বাংলাদেশে পাকিস্তানি পোশাকের সেরা কালেকশনের একটি ব্র্যান্ড এবং নারীরা আস্থা রাখেন ‘সেলাই’তে দীর্ঘ ১৫বছর ধরে। আমাদের দেশে ১৫ বছর ব্যবসা করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ উদ্যোক্তার নাম রুবাবা আকতার। ১৫ বছর আগে শুরু করা ‘সেলাই’ এখন ডিজিটাল মিডিয়ার কল্যাণে আরো বেশি সমাদৃত, আর রুবাবা এখন সারাদেশেই পরিচিত ‘সেলাই আপু’ নামে।
সম্প্রতি এফ-কমার্সের পাশাপাশি ‘সেলাই’ শুরু করেছে তার নিজস্ব ই-কমার্স। রুবাবার সহযোদ্ধা আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে আমরা মোবাইল অ্যাপও লঞ্চ করতে যাচ্ছি। অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে পোশাক কেনার সাথে সাথে টেইলারিং সার্ভিসও নেওয়া যাচ্ছে।’
ছোট থেকেই নতুন ডিজাইনের কাপড় আর সাজসজ্জার শখ ছিল রুবাবা আকতারের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি তাই ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনাও করেন তিনি। সফ্টওয়্যার প্রকৌশলী আরিফ মোহাম্মদ আবদুস শাকুর চৌধুরী আর তার সঙ্গীরা দারুণ ব্যবসায়িক দক্ষতায় তাদের এগিয়ে নিচ্ছে।
‘সেলাই’র কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন এ দম্পতি। সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়েপড়া নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন প্রতিনিয়ত। মাত্র একজন নারী কর্মীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘সেলাই’-এ এখন কাজ করছেন প্রায় অর্ধশত নারী। পাশাপাশি খাতভেদে কাজ করছেন পুরুষও।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ২টি, বনানী, গুলশানের পিংক সিটি ও মিরপুরে রয়েছে ‘সেলাই’র আউটলেট। ২০১২ সালে বিভিন্ন কারণে পোশাক ডিজাইন করা থেকে দূরে সরে এলেও সম্প্রতি আবারো ডিজাইন করা শুরু করেছেন রুবাবা আকতার।
সেলাই থেকেই ‘কালার লাইফ’ নামে সাব-ব্র্যান্ড হিসেবে আলাদা একটা স্থান করে দিয়েছেন নিজের সৃষ্টিকে। শুধু তাই নয়, এলিট কাস্টমারদের জন্য ‘রুবাবা’স’ নামে শুরু করেছেন ডিজাইনার ওয়্যার।