মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

তরুণীদের ব্রান্ড "সেলাই" আর রুবাবার গল্প

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৮:২১

আধুনিক নারীদের ফ্যাশন হাউস বলতে এখন হালের যে কয়েকটি ব্রান্ডকে আধুনিক ফ্যাশন সচেতন নারীরা পছন্দ করছেন তার একটির নাম "সেলাই"।  সেলাই মূলত বাংলাদেশে পাকিস্তানী পোশাকের সেরা কালেকশনের একটি ব্রান্ড এবং নারীরা আস্থা রাখেন সেলাইতে দীর্ঘ ১৫বছর ধরে।

আমাদের দেশে ১৫বছর ব্যবসা করে নিজে স্বপ্রতিষ্ঠিত হওয়া এই উদ্যোক্তার নাম রুবাবা আকতার। ১৫বছর আগে শুরু করা সেলাই এখন ডিজিটাল মিডিয়ার কল্যাণে আরো বেশী সমাদৃত আর রুবাবা আপু এখন সারাদেশেই পরিচিত "সেলাই আপু" নামে।

সম্প্রতি এফকমার্সের পাশাপাশি সেলাই শুরু করেছে তার নিজস্ব ইকমার্স , আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর বলেন- কিছুদিনের মধ্যে আমরা মোবাইল এপ ও লঞ্চ করতে যাচ্ছি। এপ এবং ওয়েবসাইটে পোশাক কেনার সাথে সাথে টেইলরিং সার্ভিস ও নেয়া যাচ্ছে।

ছোট থেকেই নতুন ডিজাইনের কাপড় আর সাজসজ্জার শখ ছিল রুবাবা আকতারের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি তাই ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনাও করেন তিনি। সফটওয়্যার প্রকৌশলী আরিফ মোহাম্মদ আবদুস শাকুর চৌধুরী আর তার দারুণ ব্যবসায়িক দক্ষতা তাদের এগিয়ে নিচ্ছে।

সেলাইয়ের কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন এই দম্পতি। সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন প্রতিনিয়ত। মাত্র একজন নারী কর্মীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করা সেলাইয়ে এখন কাজ করছে প্রায় অর্ধশত নারী। পাশাপাশি খাতভেদে কাজ করছেন পুরুষেরাও।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ২টি,  বনানী আর গুলশান পিংক সিটি, মিরপুরে রয়েছে সেলাইয়ের আউটলেট।

২০১২ সালে বিভিন্ন কারণে পোশাক ডিজাইন করা থেকে দূরে সরে আসলেও সম্প্রতি আবারো ডিজাইন করা শুরু করেছেন রুবাবা আকতার। সেলাই থেকেই 'কালার লাইফ' নামে সাব-ব্র্যান্ড হিসেবে আলাদা একটা স্থান করে দিয়েছেন নিজের সৃষ্টিকে। শুধু তাই নয়, এলিট কাস্টমারদের জন্য 'রুবাবা'স' নামে শুরু করেছেন ডিজাইনার ওয়্যার।

বনানীতে সেলাইর আউটলেটে কথা হয় তাদের নিয়মিত ক্রেতা গুলশানের বাসিন্দা নাবিলা আনজুমের সাথে, তিনি বললেন "সেলাইতে এসে যে স্বাচ্ছন্দ্যে  কেনাকাটি করি, সেটাই সেলাইতে আসার বড় কারন আর এদেশে অথেনটিক বাইরের পোশাক পেয়েছি সেলাইতেই।

ইত্তেফাক/এএইচপি