শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

র‌্যাগিংয়ে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান ও আরেক জন অসুস্থ

আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, ০২:৩৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আল-বেরুনী হলের গণরুমে দ্বিতীয় বর্ষের কয়েক জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাতভর র‌্যাগিং ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল হাসান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শেখ নাজমুস সাকিব, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুর হক লিমন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আশিক। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ফুয়াদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ২২ মে রাতে হলের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গণরুমে এসে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতার নাম নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া মুরগি (শাস্তির ধরন) বানিয়ে বসিয়ে রাখায় প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় আরেক শিক্ষার্থী উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে দুই জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হলেও র‌্যাগিং থামাননি অভিযুক্তরা। এরপরও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিকৃত ভঙ্গিতে পর্নোগ্রাফির ন্যায় আচরণ করানো হয়। এভাবে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। পরে তারা গণরুম থেকে বের হন। 

ভুক্তভোগী ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘গণরুমে এসে সবাইকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া বড় ভাইয়েরা ছোটখাটো বিষয়ে জানালা ধরে ঝুলে থাকতে বলেন। আমার রক্তচাপের সমস্যা থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। এছাড়া আমার এক বন্ধু অজ্ঞান হলেও বড় ভাইয়েরা সহযোগিতা করেননি।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তারা ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘অভিযোগপত্র পেয়েছি। যেহেতু ঘটনাটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেহেতু অভিযোগপত্র হল প্রাধ্যক্ষের কাছে দেওয়ার কথা। তবে আমি হল প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব। 

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘অভিযোগের তথ্য পেয়েছি। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি মিটিং ডেকেছি। ঘটনার সত্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

ইত্তেফাক/এমএএম