মাঠ এবং মাঠের বাইরে চরম দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে জুভেন্টাস। খেলোয়াড়দের সঙ্গে দলবদলের চুক্তি ও আর্থিক বিষয়ে মিথ্যাচার করায় জুভেন্টাসের ১০ পয়েন্ট কেটে নিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের আপিল বিভাগে। যার ফলে আগামী মৌসুমে তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাবে না বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, ৩৬ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট তাদের অবস্থান যে বর্তমানে ৭ নম্বরে।
ক্লাবের দুঃসময়ের মধ্যেই বেতন নিয়ে দর কষাকষি শুরু করে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল ডি মারিয়া। তিনি সরাসরিই ক্লাব কর্তাদের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান বলে গণমাধ্যমের খবর। এর মধ্যেই আবার এসেছে অন্য খবর, মৌসুম শেষেই নাকি জুভেন্টাস ছাড়তে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা। বাজারে গুঞ্জন উঠেছে, জুভেন্টাস ছেড়ে ডি মারিয়া পাড়ি জমাতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে বা সৌদি আরবের প্রো লিগে।
পিএসজি ছেড়ে গত বছরের জুলাইয়ে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া ডি মারিয়া সত্যি সত্যিই ক্লাব ছাড়বেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে আগে আরেক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী ডি মারিয়া। জুভেন্টাস সমর্থকদের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন মিষ্টি ভাষায়! পয়েন্ট কর্তনের ঘটনায় এমনিতেই জুভেন্টাসের সমর্থকরা প্রচণ্ড হতাশ। এর মধ্যে জুভেন্টাসের সাম্প্রতিক মাঠের পারফরম্যান্সও ভালো নয়। সর্বশেষ ম্যাচেই যেমন এম্পোলির কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তুরিনের ওল্ড লেডিরা। মাঠে প্রত্যাশার ছাপ রাখতে পারছেন না ডি মারিয়াও।
গোমট এই পরিস্থিতির মধ্যেই ডি মারিয়া নিজের পরিবারের হাসিমাখা একটি ছবি পোস্ট করে বসেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। ব্যাপারটা একদমই ভালো লাগেনি জুভেন্টাসের উগ্রবাদী সমর্থকদের। তারা বরং পালটা প্রশ্ন তোলেন, দলের এই দুঃসময়ে ডি মারিয়া কীভাবে এতটা হাসিখুশি থাকতে পারেন। ক্ষুব্ধ ঐ সমর্থকরা নিজেদের ক্ষোভ মেটাতে বেছে নেন সমালোচনার পথ। ডি মারিয়া ও তার স্বদেশী লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে আখ্যায়িত করে ‘ভাড়াটে খেলোয়াড়’ হিসেবে! সমর্থকদের কেউ কেউ তো এমনও লিখেন, ‘তুমি তুরিন থেকে সোজা বেরিয়ে যাও। তুমি আর পারেদেস হচ্ছো ভাড়াটে খেলোয়াড়।’
ডি মারিয়াও নিজ দলের সমর্থকদের হাসিমুখে ছেড়ে দেননি। বরং মিছরির ছুরি দিয়ে পালটা আঘাত করেছেন, ‘আমার তো মনে হয় জুভেন্টাসের জার্সির মর্ম আপনারাই বোঝেন না। আপনারা হচ্ছেন সুসময়ের বন্ধু। আপনারা শুধু সুসময়ে দলের সঙ্গে থাকেন। তার পরও আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’