শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেও স্বপদে বহাল পবিপ্রবি’র তত্ত্বাবধায়ক

আপডেট : ২৮ মে ২০২৩, ২০:১৬

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জেল খেটেও স্বপদে বহাল থাকার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অধীনে চলমান টাকার  ৪৫১ কোটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের যথাযথ মান নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৯০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় পবিপ্রবি‘র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফকে। ছয়টি প্রকল্পের দরপত্র জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২১ জুন থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। জেলে থাকায় পবিপ্রবি কর্মচারীর সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধির ৯(৪) ধারা অনুযায়ী ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পবিপ্রবি প্রশাসন। 

অভিযোগ রয়েছে, পরবর্তীতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে রিজেন্ট বোর্ড মেম্বারদের কয়েকজন সদস্যকে হাত করে স্বপদে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর প্রধান তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। 

অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফ বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বর্তমান উপাচার্য আমাকে সম্মানিত করেছে। কোন রাস্তায় যেতে হবে, কিভাবে সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে তা আমার জানা আছে। এই ফিল্ডে আমার চার-ছয় পেটানোর অভ্যাস আছে।

দুদক এর পটুয়াখালী জেলার উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আজও প্রতিবেদন আসেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক  ড.সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ইউনুস শরীফের দুর্নীতির বিষয়ে ফোনে কোনো কথা বলবো না।

পবিপ্রবি‘র উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে প্রকৌশলী ইউনুস শরীফকে গ্রেপ্তারের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সে অবস্থায় আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকায় তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি।

ইত্তেফাক/এবি/পিও