জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও গাছ কেটে ভবন নির্মাণ বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩১ মে) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিল শুরু করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ‘গাছ কাটা নিষেধ’ লেখা সম্বলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেন তারা। এর আগে, দুপুর পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূরে তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় জহির রায়হান ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোটুসী রহমান বলেন, ‘আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ-সংকট দূর হোক। তবে আইবিএ ভবনের জন্য নির্ধারিত স্থানে অসংখ্য গাছ রয়েছে। গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করা হোক- সেটি চাই না। তাই প্রশাসনকে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে বিকল্প স্থান নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গাছপালা, জীববৈচিত্র ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে ভবন নির্মাণের পায়তারা করছে। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গাছ কাটার মহোৎসব থেকে বেরিয়ে আসুক। এছাড়া অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করার দাবি জানাচ্ছি।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বারবার গাছ কাটছে প্রশাসন। বরাবরের মতো যেখানে বেশি গাছ আছে, সেখানেই প্রশাসন ভবন নির্মাণের পায়তারা করছে। তবে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন গাছ কাটতে দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ভবন নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দক্ষিণে ও বিজ্ঞান কারখানার পার্শ্ববর্তী স্থানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সেখানে আইবিএ’র ভবন নির্মাণের জন্য ৮ বিঘা, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএস এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের জন্য ৬ বিঘা করে মোট ২০ বিঘা জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে বলে জানা গেছে।