শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, কাউন্সিলরসহ আহত ২০

আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, ২১:৫৪

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি ও সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (৩১ মে) নগরীর লালদিঘী এলাকার জেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমাবেশস্থলে এ ঘটনা ঘটে। 

এতে সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর পাহাড়তলি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। 

পরবর্তীতে ১৪ দলের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ অন্যান্য নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আরমান হোসাইন বলেন, সমাবেশে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সমাবেশ শুরুর পর একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মঞ্চের সামনে থাকা দুগ্রুপের মধ্যে হঠাৎ চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি শুরু হলে কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ ১০/১২ জন আহত হন। এ সময় খোরশেদ আলম সুজনসহ অন্যান্য নেতাদেরকে মঞ্চ থেকে নেমে পরিস্থিতি শান্ত করতে দেখা যায়। সংঘর্ষের কারণে গণসমাবেশের কার্যক্রম প্রায় আধাঘণ্টা বন্ধ ছিল।

সমাবেশে মারামারির বিষয়ে খোরশেদ আলম সুজন ইত্তেফাককে বলেন, আজকে আমাদের সমাবেশে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছিল। গরম উপেক্ষা করে ১৪ দলের শরীক দলের নেতা-কর্মীরা জেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমবেত হলে স্থান সংকট দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে অসহ্য গরমের মধ্যে কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। আমরা সিনিয়র নেতারা হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন মারামারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, একটি যুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনীর প্রয়োজন। একটি দলের আদর্শ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী। এই সৃশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী দলের শক্তি ও ঐক্যের ভিত্তি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি আমাদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তিকে বিনাশ করা। 

ইত্তেফাক/এবি/পিও