শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

কুবিসাস কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ, থানায় জিডি

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ২১:০৩

‘সাংবাদিকরা এখনো আমাকে চিনে না, আমি কে। সাংবাদিকরা আমাদের কী করবে, দেখে নেব। গুণ্ডামির কী দেখছে?’ গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগ নেতা রেজা-ই-এলাহির হুমকির ৬ দিনের মাথায় ৩ জুন রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ জুন) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশ। অভিযুক্ত রেজা-ই-এলাহি শাখা ছাত্রলীগের ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, গত ২৯ মে (সোমবার) দুপুরে ইংরেজি বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে রেজা-ই-এলাহি ও স্বজন বরণ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে মারধর ও হেনস্তা করেন। এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্নভাবে রেজা-ই-এলাহি সমর্থিত নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।

শেখ মোহাম্মদ মাসুম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘ডিরেক্ট একশন হবে এখন থেকে।’ 

সাদ্দাম হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী ফেসবুকে লিখেন, ‘সাংবাদিকদের এক এক করে ধরে কালার পাল্টে লাল করে দিব।’

এদিকে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। এছাড়া মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, কোটবাড়ি ফাঁড়ির এসআই আফসারুলকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল তদন্ত করতে এসে ঘটনা মামলার যোগ্য হলে তারা ব্যবস্থা নিবে।

ছাত্রলীগ নেতা রেজা-ই-এলাহি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক হেনস্তা করিনি এবং সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নই।’

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন মাহি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের হুমকির পর কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ থেকেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানায়।

ইত্তেফাক/এবি/পিও