পরিধি বৃদ্ধির পথে 'কালিন্দী'কে আরও একধাপ এগিয়ে দিলো বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্রান্ড 'রঙ বাংলাদেশ'। কালিন্দীর পণ্য এখন থেকে 'রঙ বাংলাদেশ' এর অনলাইন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আউটলেটেও পাওয়া যাবে।
কালিন্দী মূলত পাটের ব্যাগ তৈরি করে, পাশাপাশি পাট দিয়ে ফ্লোরম্যাটও তৈরি করছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কালিন্দীর প্রথম অনলাইন যাত্রা শুরু হয়। কালিন্দী তৈরি করছে নিত্যনতুন ডিজাইনের পাটের ব্যাগ, এই ব্যাগ তৈরিতে ৭৫% লেফটওভার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে পাটের ব্যাগকে নতুনভাবে তুলে ধরতে কালিন্দী প্রথম প্রাধান্য দিয়েছে পাটের ব্যাগের বৈচিত্র্যের ওপর। গতানুগতিক ডিজাইনের বাইরে বের হয়ে কালিন্দী তৈরি করছে বর্তমান সময়োপযোগী ফ্যাশনেবল পাটের ব্যাগ।
ল্যাপটপ ব্যাগ, মানিব্যাগ, অফিস ব্যাগ, ক্যারিব্যাগ, ইউটিলিটি, ডাফল ব্যাগ তারমধ্যে অন্যতম। উন্নত মানের পাটের কাপড়, ভালো ফিনিশিং, তুলনামূলক কম দাম এবং ডিজাইনে ভিন্নতা, মূলত এসকল কারণেই কালিন্দীকে খুব কম সময়ে সবার কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
মূল বিক্রয় অনলাইন-ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হলেও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কালিন্দীর পণ্য অফলাইনেও বিক্রি হচ্ছে। জেডিপিসি ছাড়া কালিন্দীর প্রথম অফলাইন ডিসপ্লে কর্নার হয় 'যাত্রা'তে। এরপর অবশ্য আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে ছোট পরিসরে ডিসপ্লে কর্নার নিয়ে অফলাইন বিক্রয় কেন্দ্র আরেকটু বাড়ানো হয়। এই পরিধি আরও অনেক বেশি বাড়ানোর সুযোগ হচ্ছে এবার 'রঙ বাংলাদেশের' মাধ্যমে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্রান্ড 'রঙ বাংলাদেশ' এর সঙ্গে কালিন্দীর এই শুরুটা খুবই আনন্দের। তাদের অনলাইন ওয়েবসাইটে সহ কালিন্দীর পণ্য এখন থেকে রঙ বাংলাদেশের আউটলেটেও পাওয়া যাবে। প্রথমে যমুনা ফিউচার পার্ক আউটলেট দিয়ে শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্য আউটলেট গুলোতেও কালিন্দীর ডিসপ্লে কর্নার করার থাকবে
থিমভিত্তিক কালেকশনের জন্য 'রঙ বাংলাদেশ' সব সময় সেরা। যেকোনো উৎসবকে সামনে রেখে রঙের আয়োজন থাকে মনকাড়া।রঙ দিয়ে এই ব্রান্ডটি সময়কে রাঙিয়ে তোলে।
খুব অল্পদিনের কাজে কালিন্দী চেষ্টা করছে থিমভিত্তিক কাজ করতে। জামদানী, বসন্তের ঝরা পাতা, নতুন সবুজ পাতার মোটিফসহ এমন বেশকিছু ডিজাইন পাটের ব্যাগে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- কালিন্দীর প্রতিটি ব্যাগের নাম নদীর নামে। ওয়েবসাইটে ঢুকলে চোখে পড়বে প্রতিটি ব্যাগের সঙ্গে একটি করে নদীর বর্ণনা। এমনকি 'কালিন্দী' নামটাও নদীর।