রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চলার পথের দিনলিপি

হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল ‌‘হৃদয়ের ডাক্তার’

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, ২২:০৫

‘চলার পথের দিনলিপি’ নামটি শুনলেই প্রথমে জীবনী গ্রন্থের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। কিন্তু বইটি মোটেও তেমন নয়। নান্দনিক ও নস্টালজিক হালকা হলুদ রঙের গোধূলীমাখা প্রচ্ছদ দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়। পাতায় পাতায় যার ছড়িয়ে স্মৃতির অক্ষর।

প্রথম ফ্লাপে লেখক অধ্যাপক ডা. এইচআই লুৎফর রহমান খানের একটি ছোট্ট বাঁধাই করা ছবি। প্রথমেই দুই পৃষ্টা জুড়ে দিয়েছেন নিজের পরিচিতি। এই পরিচিতি বইটি পাঠে সহায়ক হয়ে ওঠে। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাবা আবদুল লতিফ খানকে। তিনিও লিখতেন। তাঁর কারণেই লুৎফর রহমান খানের লেখালেখির হাতেখড়ি ও অনুপ্রেরণা। 

নিজের সৃজনশীল সত্ত্বায় তাই বাবাকে স্মরণ করতে তিনি ভুলে যাননি। বাবাও যে লিখতেন তার প্রামাণ্য দলিল হিসেবে একটি ‘হামদ’ মূললেখাসহ হাজির করেছেন। বাবার নিজের হাতে লেখা ৩ জানুয়ারি ১৯৫৭ সালসহ অমূল্য সংগ্রহটি ছেপেছেন সীমাহীন উষ্ণতায়। সেখান থেকে দুটি লাইন পাঠকের জন্য তুলে দেওয়া কর্তব্যবোধ মনে করেছি-

     ‘রহিম রহমান খোদা হে রাব্বুল আলামিন
     করেছ সৃজন কুদরতে তব আসমান জমিন’।

১৭৬ পৃষ্টার বইটি দুটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে আছে ৪১টি আলাদা বিচিত্র বিষয়ের স্মৃতির টুকরো টুকরো আয়না। যাতে চোখ বুলালে অন্যের জীবনে নিজের জীবনও দেখা যায়। লেখাগুলোকে কখনো কখনো মনে হবে কারো ডায়েরি পড়ছি। হঠাৎ মনে হবে না; এটা ঠিক ডায়েরি না। সচেতন লেখালেখি। কখনো মনে হবে স্মৃতিগন্ধী জীবনীও।

লেখক লুৎফর রহমান খানের লেখক বাবা আবদুল লতিফ খান। ওপরে ‘হামদ’ লেখাটি তাঁর।

প্রথম লেখা ‘মা’কে নিয়ে। পড়তে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। জল ঝরে। মনে বৃষ্টি নামে। মায়ের সঙ্গে জীবনের গাথা স্মৃতি এমনভাবে বর্ণনা করেন যেন কান্না পায়। তার লেখা পড়ে জ্ঞানের অন্য শাখাতে লেখকের দখল চোখে পড়ে। তিনিও নেপোলিয়নের কথাকে স্বীকার করেন বলেন, একটি ভালো মা ছাড়া একটি ভালো জাতি তৈরি অসম্ভব।

পর পর তিনটি দিনলিপিতে লেখকের জন্মস্থান, বেড়ে ওঠা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, স্বর্গীয় শিশুকাল, বর্ণিল শৈশব ও দুরন্ত কিশোরবেলা ও যৌবনের শুরুতে ঢাকায় আসার তুমুল কাহিনি জানা যায়। স্মৃতির দরদি রুমালে তিনি তা এঁকেছেন। যা চোখের সামনে মখমলের কারুকাজের মতো পাঠকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধুরা, দুষ্টুমি, বাবা-মায়ের শাসন, অবাধ্য গল্পের কাহিনি সিনেমার মতো দৃশ্যের পর দৃশ্য পরিস্ফূটিত হয়। নস্টালজিক হওয়া ছাড়া পাঠকের সেখানে কোনো অজুহাত থাকে না। এ কারণে মনে হয় মানুষ আসলে স্মৃতিরপুত্র। এ ছাড়া আছে বাবার সঙ্গে প্রথমে ঢাকায় এসে ওষুধ কেনার টাকা নিয়ে সিনেমা হলে ঢুকে পড়বার শিশুতোষ সাহসের সমাচার।

লেখক অধ্যাপক ডা. এইচআই লুৎফর রহমান খান

তারপর ‘করোনাযুদ্ধের করণীয়’ নিয়ে লেখা। এরপর ‘প্রতিপক্ষ না ভেবে আপনজন ভাবতে হবে’ শীর্ষক একটি সাক্ষাৎকার। সেখানে জানা যায়, লেখকের শিক্ষক বাবা চাইতেন ছেলে যেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মতো নামকরা আইনজীবী হন। কিন্তু তিনি হয়ে গেলেন ডাক্তার। যদিও লেখার ভূত ছাত্রজীবনে বাবার আদেশের কারণে বেশি সুফলতা বয়ে আনেনি।কিন্তু তিনি কখনো কবিতা ভোলেননি। ছাড়েননি লেখালেখি। এবং তিনি নিজে গ্রামে ডাক্তার হয়ে চলে গেছেন। তাই তরুণ ডাক্তারদের গ্রামে যাবার প্রেরণা দিয়েছেন।

লিখেছেন করোনার সঙ্গে তুলনামূলক প্রযুক্তি ও সভ্যতা নিয়ে। সেখানে শারীরিক পরিশ্রম না করে আমরা যান্ত্রিক সভ্যতার দাসের কারণে এনসিডির মতো মারাত্বক রোগে ভুগছি। তার লেখায় সুস্থতার জন্য ডাক্তারি বিদ্যাকে সহজ করে তোলেন।

‘অভিশপ্ত একরাত্রি’ গা শিউরে ওঠা বাস্তব অভিজ্ঞতার এক নুড়িপাথর। অলাভজনক লাভের কারবারি করতে চার বন্ধুর অম্লমধুর চিরকালীন গল্প। এসব অভিজ্ঞতাও যে জীবনে খুব দরকার লেখক তাই অভিযুক্ত বন্ধুকে দিয়েছে ধন্যবাদ।

আগাগোড়া বইটিকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পিসক্রিপশন বললেও অত্যুক্তি হবে না। কারণ যেভাবে আছে দুনিয়ামুখী সমস্যা সমাধানের উপদেশ ও নির্দেশনা। সেভাবে আছে হৃদয় সুস্থতার প্রতিকারও। এ ছাড়াও দৃশ্য-অদৃশ্য নানান রোগের ওষুধ ও পথ্যের ঠিকানা এই গ্রন্থ। তা ছাড়া আছে চিঠি, সাক্ষাৎকারসহ রকমারি বিষয়ের আলাপ।

‘প্রসঙ্গ-কবিতা’য় তিনি নিজেকে কবিতার অনুরাগী ও নিজেকে কবি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কবিতার সঙ্গে বউ, পেশা ও সংসারের যে সাংঘর্ষিক অবস্থান তার ব্যাখা দিয়েছেন। আমাদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন। বার বার ‘করোনা’ নিয়ে লিখেছেন। যা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক গত সময়ের জন্য। 

হেমন্তের একটানা বর্ষা নিয়ে লিখেছেন মুগ্ধতা ও বিরক্তির কারণ। নিজেকে ‘কবি’ দাবি করে ফের ‘প্রসঙ্গ বৃষ্টি’ বিভাগে লিখেছেন রাজধানীর বর্ষা ও কদমের প্রতি অঢেল অনুরাগ। বেশিরভাগ লেখায় দেশি বিদেশি কবিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। কখনো কখনো গদ্যের ভেতরে লিখেছেন নিজের কবিতাও। শুধু নিজের কথা নয়, নিজের ভেতরে বসবাস করা অন্যের কথাও। যারা তাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছেন। অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। লিখেছেন ‘আমার দেখা একজন জাফর স্যার’কে নিয়ে। চিকিৎসকের চোখে আরেকজন চিকিৎসক কীভাবে মহান হয়ে উঠতে পারে তার দারুণ অনুপ্রেরণা ও শিক্ষামূলক লেখা। নিজে যেহেতু কার্ডিওলজিস্ট যেহেতু বার বার হৃদরোগীদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন নিপুনভাবে।

নিজে যেহেতু বীর মুক্তিযোদ্ধা তাই সহযোদ্ধাদের স্মৃতি হয়ে উঠেছে অতি প্রাসঙ্গিক। লিখেছেন ক্রীড়াবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মিরাজ উদ্দিনের কথা ও হরিরামপুরের লক্ষ্মীকুল গ্রামের তৎকালীন সংগ্রামী জননেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন চৌধুরীকে নিয়েও।

বড়বেলায় মাকে হারানোর পর ছোটবেলার মাকে লিখেছেন এক অনবদ্য আট পৃষ্টার দীর্ঘতম ‘চিঠি’। যেখানে পাঠকরা তাদের জীবনের মিল খুঁজে পাবেন। যা পুরো বইয়ের সবচেয়ে বড় গদ্য। ‘ফিরে দেখা বৈশাখের দিনগুলো’তে লেখকের স্মৃতিরোমান্থনমূলক সাক্ষাৎকার। ‘স্মৃতির জানাল খুলে দেখা’য় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার সেই ঐতিহাসিক স্মৃতি যেন নকশিকাথার মতো সেলাই করে তুলে ধরেছেন। 

অনুপ্রেরণাদায়ী মহৎ স্ত্রীর সঙ্গে লেখক লুৎফর রহমান খান

‘জীবন থেকে নেয়া’তে নিজের স্ত্রীর মহানুভবতা ও প্রথম সন্তান হওয়ার সময় স্ত্রীর পাশে না থাকার এক মধুর যন্ত্রণার কথা তুলে বলেছেন। এবং পুরুষের মহৎ হওয়ার পিছনে যে নারী আড়ালে নিজেকে সমার্পণ করেন তাদের অবদান অসামান্য রূপে বর্ণনা করেছেন। হৃদরোগের পাশাপাশি তিনি বাতজ্বর নিয়েও লিখেছেন নিজের অভিজ্ঞতা, সমস্যা, প্রতিকার।

‘নানুর বিড়াল’এ লেখকের নানার গৃহপালিত প্রাণিদের প্রতি মমতা ও নানুবাড়িতে খেজুর রস চুরি করে খাওয়ার মধুর ঘটনা জানা যায়। ‘প্রসঙ্গ কাকতালীয়’ হলেও মুষলধারে বৃষ্টির সময় আশ্রয় নিতে চাওয়া কোনো দৈত্য-দারেয়ানের গেট বন্ধ করা ও পরবর্তীতে অতিআপনজনের আগমনে নিরাপদে গাড়িতে চড়া নিছক কাকতালীয় নয়। বিজ্ঞান যতই কাকতালীয় বলুক প্রকৃতিবিজ্ঞান বলে মনের ইশারা। এ ছাড়া ‘কারণ বিনে কার্য ঘটে না’ বলে যে বিজ্ঞান; সেই বিজ্ঞানই বা কেন বলছে এটা কাকতালীয়। 

এখানে সৃষ্টা ও সৃষ্টির অপর রহস্য রয়েছে। যা আমাদের আবিস্কার করতে হবে। কারণ বিজ্ঞানের সত্যই সব শেষ সত্য নয়। এখনো মানুষের মনের ঠিকানা বলতে পারিনি বিজ্ঞান। আপনার মাকে আপনি কতটা ভালোবাসেন? কিংবা আপনার সন্তান আপনাকে কতটা ভালোবাসে তা কোন নিক্তিতে পরিমাণ করবে বিজ্ঞান। ফলে বিজ্ঞানের বাইরে যে মহাপৃথিবীর রহস্য আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায় তার রহস্য কি?। সেক্ষেত্রে ‘আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে চাইতে’ শব্দটি এখানে দারুণ মুন্সিয়ানায় ব্যবহার করেছেন লেখক। সুতরাং কাকতালীয় বলতে প্রকৃতিতে কিছু নেই।

যেহেতু তিনি ‘হৃদয়ের ডাক্তার’ তাই ঘুরেফিরে এসেছে হৃদরোগের কথা। জন্মগত হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে লিখেছেন। ‘প্রসঙ্গ সরি’তে একটি ছোট্ট শব্দে যে হাজারও জটিল ও কঠিন বিষয় পানির মতো সহজ হয়ে যায় তা তুলে ধরেছেন। ‘আষাঢ়ে গল্প’ শুধু আষাঢ়ে হয়ে থাকেনি। নিজের দাদা-দাদি না থাকার বেদনা এ লেখায় ফুটে ওঠে। এবং পাশের বাড়ির দাদির কাছে শোনে ‘এক পশু চিকিৎসককে শকুনরা ঘিরে রাখে। কারণ তার চিকিৎসায় গ্রামে সব অসুস্থ গরু সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। না মরলে শকুরা খাবে কী’। 

‘হঠাৎ মৃত্যু’তে লেখক বিজ্ঞান ও ধর্ম কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী বা বিরোধী যে নয় তা পরিস্কার করেছেন। ‘স্বাধীনতা’ শিরোনামের লেখার উপজীব্য বিষয় হচ্ছে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে দেশের কথা ও দশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা। পাঠকের প্রতি নিজের উপদেশ-নির্দেশনার পাশাপাশি জ্ঞানী মানুষের উপদেশও সংগ্রহ করেছেন এবং লিখেছেন। 

‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’ এ লেখক মনের বিভিন্ন আবেগময় বিষয়ের অবতারণা করেছেন। ‘ফেলে আসা দিনগুলো’তে তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা ও নিজের মহান সব শ্রেণি শিক্ষকদের স্মৃতি এঁকেছেন শ্রদ্ধার তুলি দিয়ে। আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষক কেমন হবে তাও তিনি ইঙ্গিত করেছেন। প্রায় প্রত্যেকটি লেখা তিনি গান-কবিতা দিয়ে শেষ করেছেন কিংবা শুরু। এতে প্রত্যেকটা গদ্য হয়ে উঠেছে কাব্যিক ও মধুর।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে নানান সময়ে নানান উপলক্ষে লেখা ২৫টি গীতল ও হৃদয় শীতল করা কবিতা। প্রথম কবিতা ‘বিদায়ের গান’ এ তিনি লিখেছেন-
     ‘জানো কি তোমায় কত ভালোবাসি, কত তুমি মোর প্রিয়
     বুঝাতে পারিনি যদিও তা আমি ইশারায় বুঝে নিও’

নিজের চেম্বারে ‘হৃদয়ের ডাক্তার’ অধ্যাপক ডা. এইচআই লুৎফর রহমান খান

এ যেন জসীমউদদীনের ‘কবর’ কবিতার শেষাংশ পড়ছি বলে ভ্রম হয়। তার কবিতার শরীর সরল ও সাবলীল। ফলে পাঠকের কাছে তা বোধ্যগম্য হয় সহজে। করে মন হরণ। নিজের জীবনের নানান ঘটনা তিনি কবিতার মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছেন। 

‘প্রশ্ন ও প্রত্যাশা’ কবিতাটি নাতনি রিমঝিমির বয়ানে লেখা-
     ‘কেমনতর বিদ্যা তুমি শিখেছো ডাক্তার
     চলে যাওয়া বন্ধ করা পারবে না সবার’

শিশু মনের এসব জটিল প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? তিনি তা কবিতায় ধরেছেন। এ ছাড়া মৌমাছির চাক, টাকার পাগল, রিমঝিমের জন্মদিন, মেলার বাঁশি, চোখের পানি, বাল্যস্মৃতি, নীতিকথা, ইচ্ছেগুলো, আমার ছেলেবেলা, শিশুর মন, ভালোবাসা, অপ্রিয় কথা, আমার ঘর, যতদূত করোনা, একাকী, বিবেক কবিতার শিরোনাম শুনলেই বোঝা যায় তিনি কতটা সময় সচেতন জীবনশিল্পী।

ভূমি প্রকাশ-এর যত্নে কোনো ক্রুটি নেই। কুসুম কুসুম পাতাগুলো পরিচ্ছন্ন। বাধাই দুর্দান্ত। প্রকাশিত হয়েছে ২০২১ বইমেলায়। মূল্য তিনশ পঞ্চাশ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন জসিমউদ্দিন আহম্মেদ।

লেখক বইটি উৎস্বর্গ করেছেন বাবা-মা, স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই বৌমা ও আদরের নাতনি রিমঝিমকে। শুধু নিজেকে বাদ দিয়ে পরিবারের সবাইকে একত্রে স্মরণ, সবার প্রতি মমতা-ভালোবাসার দায়বোধের শিক্ষা দেয়।

লেখক: কবি ও গদ্যকার

ইত্তেফাক/পিও