মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

২৫ হাজার মানুষের কাছে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন

আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩, ২১:৩১

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ২৫ হাজার দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, অসহায় এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। যারা কারও কাছে লজ্জায় কোরবানির মাংস চাইতে পারে না তাদের কাছেও পৌঁছে দিয়েছে এ সংস্থা। এছাড়াও সাভারে শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য মাস্তুল ফাউন্ডেশন থেকে কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। 

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, কোরবানির উদ্দেশ্য হল ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই বিগত কয়েক বছর ধরে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারদের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করছি। এই কাজ করতে গিয়ে দেখেছি এসব মানুষের চোখে-মুখে তৃপ্তির আমেজ। এমনও অনেক পরিবার আছে যারা সম্মানের ভয়ে লজ্জায় কারও কাছে মাংস চাইতে পারে না। আমরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাদের বাড়িতে মাংস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। 

মাস্তুল ফাউন্ডেশন ঢাকাসহ ভোলা, পঞ্চগড় ও রংপুরের বিভিন্ন মাদ্রাসায়, এতিমখানায়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালিত এতিমখানায়, কুড়িগ্রামে বন্যা কবলিত স্থানে, গাইবান্ধার চর অঞ্চলে, ঠাকুরগাঁওয়ে, সুনামগঞ্জে, নেত্রকোনায় এবং দক্ষিণ অঞ্চলে বরিশাল বিভাগের কয়েকটি জেলায় কোরবানির আয়োজন করেছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পঞ্চগড়ের শিশু পরিবার এবার কোনো কোরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেনি। তাই শিশুদের মন খারাপ ছিল। মাস্তুল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই এতিম শিশুদের জন্য কুরবানির পশু সরবরাহ করা হয়। আমি মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ, মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এ সংস্থার রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা এবং শেল্টারহোম যেখানে আবাসিক-অনাবাসিক মিলে শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরণ দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাইরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ৮০০ জনকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর অধিক লাশ দাফন করা হয়েছে। রয়েছে মাস্তুল মেহমানখানা, যেখানে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ একবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

ইত্তেফাক/এবি