শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভরা মৌসুমেও নদীতে মিলছে না ইলিশ

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, ১৮:২০

টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভরা মৌসুমেও ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। উভয় নদীর তীরের জেলে পল্লি, বাজার ও মাছঘাটগুলোতে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। তাই জেলে পরিবারের দিন কাটছে হতাশায়।

জানা যায়, নদীতে অসংখ্য ডুবোচর, নাব্য সংকট, উজানের প্রবাহ কম থাকা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, গতিপথ পরিবর্তনের ফলে এখনো কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না। প্রতি বছর এ সময়ে ইলিশ বিকিকিনির দৌড়ঝাঁপ থাকত। অথচ এ বছর ঘাটগুলোতে তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।

জেলেরা জানান, ঝাটকা সংরক্ষণ, ২২দিন মা ইলিশ রক্ষা অভিযান, সাগরে টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারের আশায় প্রতিদিন দল বেঁধে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে জাল ফেললেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। সারাদিন নদীতে ঘুরে আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আর  পেলেও তা দিয়ে ট্রলারের তেলের খরচ উঠছে না। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ায় অনেকে নদীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রতিদিনই মহাজন ও তেলের দোকানের দেনা পরিশোধের চাপে হতাশায় দিন কাটছে তাদের।

জাহাঙ্গীর মাঝি, কালাম সর্দার, মোশারফ হোসেন নামে কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী বলেন, লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে আমরা এখন অসহায়। নদীতে মাছ নেই। আমাদের ব্যবসা ও নেই।

উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি আবু সাইদ মাঝি ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শাহে আলম বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। সে অনুযায়ী নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার কথা। অথচ এখনো কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, এখানকার অভয়াশ্রমের মোহনায় অসংখ্য ডুবোচর। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ রয়েছে। ফলে মাছের পেটে এখনো ডিম আসেনি। তাই সমুদ্র থেকে নদীতে মাছ আসছে না। তবে কিছুদিন পর মাছ পাওয়া যাবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, অধিকাংশ মাছের পেটে এখনো ডিম আসেনি ৷ তাই সমুদ্র থেকে নদীতে মাছ আসছে না ৷ ডিম আসলে নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পরবে ।

ইত্তেফাক/এবি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন