শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কে খানাখন্দক, ভোগান্তি চরমে 

আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ২১:২৪

সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা অবস্থায় আছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই, ইট-সুরকি উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দক। আর এই খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। 

সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় হওয়ায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। 

ছবি: ইত্তেফাক

জানা যায়, ঢাকা-গোড়াই-সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কটি নির্মিত হওয়ার পর এলজিইডির রাস্তা হিসেবে অধিভুক্ত করা হয়। এটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। মধুপুর থেকে সখীপুর হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সংযোগ হয়েছে সড়কটি। ফলে এ সড়ক দিয়ে সখীপুরের উত্তরাঞ্চল ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুরসহ কয়েকটি জেলার যানবাহন রাজধানীতে চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে আনারস, কলা, কাঁঠাল, বাঁশ, কাঠ, মুরগীর খাদ্য, মুরগীর বাচ্চা, ডিম, ইট-বালি নিয়ে যান চলাচল বেশি করে থাকে। 

এ ছাড়াও যাত্রীবাহীবাস, ওষুধের গাড়ি, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যান রাজধানী ঢাকার কাছে হওয়ার কারণে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের কচুয়া বাজার অংশে, ঘোনারচালা বাজার অংশে, সখীপুর খাদ্যগুদাম এলাকায় ও বড়চওনা বাজার অংশে বড় ধরনের খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট খানাখন্দকে বৃষ্টির পানি জমে ছোট খাটো ডোবায় পরিণত হয়েছে। 

ছবি: ইত্তেফাক

গত ১৬ আগস্ট বিকালে কচুয়া বাজার অংশে একটি আনারসবাহী ট্রাক দেবে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানজটের সৃষ্টি হয়। পরের দিন দুপুর পর্যন্ত ওই সড়কে কোনো ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী গাড়ীর লোকজন ও সাধারণ মানুষকে। এ অবস্থায় সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে মেরামত করা হয়। 

সপ্তাহখানেক না ঘুরতে (২৩ আগস্ট) বুধবার ভোরে একই স্থানে আবারও মালবাহী ট্রাক দেবে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারীরা। ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত কোনো ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারেনি ওই সড়কে। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে মেরামত করে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

ছবি: ইত্তেফাক

এদিকে, সড়কটি গত কয়েক বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় নেওয়া হয়েছে। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মির্জাপুর অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কটি তিন লেনে উন্নীত করার জন্য ইতিমধ্যে ডিপিপি (ডেভেলমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল) তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে খানাখন্দক অংশে জরুরি মেরামত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/পিও
 
unib