ভোলার বোরহানউদ্দিন বাজারে ব্যবসায়ী ও পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোশারেফ ওরফে মসুকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এতে দুই দিন চিকিৎসা করানোর পর রোববার মারা যান। এ ঘটনায় মো. গিয়াস নামে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছেলের চড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন স্থানীয় থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতে লঞ্চযোগে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গিয়াস নামক একজনকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ী ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌর সভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান সিকদারের ছেলে। সর্বশেষ সে পৌর শহরের চৌরাস্তায় ফুটপাতে ফলের ব্যবসা করতো। থানা পুলিশ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে ছেলের দোষে বাবাকে হত্যার কারণে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরে মসু হত্যার বিচার চেয়ে মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মোশারফের ছেলে শাকিল জানান, গত কয়েকদিন আগে ঢাকায় মোশারেফের মেজ ছেলে শান্তর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের (২২) বন্ধু চাঁন মিয়া সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সুমনের বন্ধুরা শান্তর কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনার ১ বছর আগে বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের বন্ধু চাঁন মিয়াকে বোরহানউদ্দিন সদরে পেয়ে শান্ত তাকে থাপ্পর মারে। এর রেশে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে সুমন, শাহিন ওরফে সখা, কামালসহ একদল বখাটে ব্যবসায়ী মোশারফকে হাত মুখ বেঁধে অটো রিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। সুমনসহ অজ্ঞাত ২০ জন তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা আহত মোশারেফ হোসেন মসুকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে পাঠায়। আহত মসুর চিকিৎসার অবনতি হলে ভোলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে রোববার ঢাকা নেয়ার পথে মসুর মৃত্যু হয়।
মসু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ছলিমুর রহমান বলেন, ‘মো. গিয়াস নামে ১ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া বলেন, ‘তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়েরের পর ১ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’