রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চিপসের প্যাকেট, ওয়ান টাইম চায়ের কাপে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা 

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩১

সিলেট সিটি করর্পোরেশনে ৩ মাসব্যাপী চলা ডেঙ্গু বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কনফারেন্স হলে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউএসসিডিসি'র অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। 

সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিমা ইয়াসমিন।

সিসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মৃদুল গুপ্তের সঞ্চালনা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত।

সভায় বক্তারা বলেন, সিলেটের বেশীর ভাগ ডেঙ্গু রোগীরই ট্রাভেল হিস্টোরি রয়েছে। তবে এখন সিটির বেশ কিছু ওয়ার্ডে সরাসরি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। সিসিক এডিস মসার লার্ভা ধ্বংসে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ আরও সচেতন হয়েছে।

বক্তারা বলেন, আগের মত ফুলের টবে কিংবা ফেলে রাখা টায়ার জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা এখন মিলছে না। তবে এখন বেশীর ভাগ বাসাবাড়ির অঙ্গিনায় ফেলে রাখা চিপসের প্যাকেট, ওয়ান টাইম চায়ের কাপ, এ জাতীয় বিভিন্ন বস্তুতে জমে থাকা পানিতে পাওয়া যাচ্ছে এডিসের লার্ভা। এ বিষয়গুলো নিয়ে আরও সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে।

সভায় সিলেট সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ডা. মৃদুল গুপ্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রতিবেদন পেশ করেন।

সভায় জানানো হয়, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর প্রকল্পের আওতায় নগরীর ১৫টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। ৩ মাসব্যাপী এ কার্যক্রমে ১৫টি ওয়ার্ড জুড়ে ৫ হাজার ৭৮২টি হাউজ হোল্ড ভিজিট করে মশার প্রজননস্থল খোঁজা হয়েছে এবং লিফলেট প্রদানের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। 

যেসব স্থানে লার্ভা পাওয়া গেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা ধ্বংস করে বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের মালিককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।  এডিস মশার প্রজননস্থল ও লার্ভা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০০ মশারি বিতরণ করা হয়। 

এই কার্যক্রম পরিচালনায় সেইভ দ্য চিলড্রেন এর ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৬ জন কর্মী এবং ১৬ জন স্প্রেম্যান নিয়মিত ভাবে কাজ করেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।

ইত্তেফাক/পিও