পৃথিবীতে কারও জীবনই সব সময় সহজ ভাবে চলে না। কখনও ভালো আবার কখনও খারাপ আর এই সব পরিস্থিতি নিয়েই জীবন। জীবনে চলার পথে চড়াই-উতরাই না থাকলে বেঁচে থাকার আনন্দও আসে না। তাই অনেকেই জীবনে সরলতার সঙ্গে সঙ্গে একটু জটিলতাও পছন্দ করেন। কিন্তু সকলের মানসিকতা সমান হয় না। সব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো ক্ষমতা, সাহস ও ইচ্ছাশক্তি সকলের থাকে না। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন অনেক সময়।
বেশিরভাগ সময় অন্যের সাফল্য দেখে, ভালো থাকা দেখে আরও বেশি করে হতাশা গ্রাস করতে পারে। তখন মনে হতে পারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ নেই। ঠিক সেই সময়ই পেশাদার, দক্ষ মনোবিদের সাহায্য নেন অনেকে। তবে মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি যদি নিজের জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন, তা হলে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। তখন জীবনে হাজার বাধা বিপত্তি আসলেও সকল পরিস্থিতি সামলে নিয়ে বাঁচা যায়।
জীবনের সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এই কাজগুলো খুব উপকারী।
ডায়েরি লিখুন
টেলিভিশন দেখতে ইচ্ছা করছে না। গান শুনেও মন শান্ত হচ্ছে না। সমাজ মাধ্যমে ঘোরাফেরা করতেও বারণ করেছেন অভিজ্ঞরা। তা হলে সেই পরিস্থিতিতে যা মনে হচ্ছে ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। এই অভ্যাস নিজেকে বুঝতে ও অশান্ত মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে অন্যের ভালো মুহূর্ত, সাফল্যের কাহিনী দেখতে বা শুনতে ভাল না-ই লাগতে পারে। মনোবিদরা বলছেন, এই অভ্যাসে মানসিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। তাই সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন
কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে গিয়ে একাকীত্বে ভোগেন অনেকেই। তবে মনোবিদরা বলছেন, এই সময়ে কাছের কারও সঙ্গে কথা বললে মন অনেকটা হালকা হয়। অনেকেই ভালো-মন্দের বিভেদ করতে পারেন না। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া যেতেই পারে।
নিজের যত্ন নিন
কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে হলে শরীর ও মনের সুস্থতা বজায় রাখা খুব বেশি প্রয়োজন। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। মন ভালো রাখতে মেডিটেশন করতে পারেন।
শখ-শৌখিনতাকে গুরুত্ব দিন
কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থাকলে কোনো কিছুর প্রতি মনকে আটকে রাখা মুশকিল। প্রথম দিকে সমস্যা হলেও ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া শখ-শৌখিনতার প্রতি মন বসাতে পারলে, কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।