রাজধানীর উত্তরা ও ফতুল্লা থানার ভূইঘর পশ্চিম পাড়া এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। ফতুল্লায় অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান। উত্তরার অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরা।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় বিকালে। উত্তরা ও ফতুল্লায় এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনের সামনে সেটব্যাক আংশিক এবং ওয়াল ভেঙে অপসারণ করা হয়। এছাড়াও কয়েকটি ভবনের বর্ধিত ক্যান্টিলিভার ভেঙে অপসারণ করা হয়।
ফতুল্লায় অভিযান সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক জোন-৮/১) ফতুল্লা ভূইঘর পশ্চিম পাড়া এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়। কয়েকটি ভবনের মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে তারা পরবর্তীতে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ না করে। সেইসাথে ভবন মালিকদেরকে কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
উত্তরায় অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরা বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোন ২/১ এর আওতাধীন উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় রাজউক নকশা বহির্ভূত ও অবৈধ দখল এমন সব ভবনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আজকের রাজউকের অভিযানে নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনের বর্ধিতাংশ অপসারণসহ ১ ভবনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ফতুল্লা এলাকায় মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন (রাজউক জোন ৮/১) অথরাইজড অফিসার মোঃ ইলিয়াস, সহকারী অথরাইজড মো: কায়সার পারভেজ, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো: শফিকুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক মো:শফিউল্লাহসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উত্তরায় এলাকায় মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন ২/১ এর অথরাইজড অফিসার ইঞ্জিনিয়ার পলাশ সিকদার, সহকারি অথরাইজড অফিসার আব্দুল লতিফ, প্রধান ইমারত পরিদর্শক ফজলুল হক, ইমারত পরিদর্শক আমিন কবির, আবদুল্লাহ আল মামুন, মাসুদুর রহমান, জাকিয়া আলমসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা।