শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ভালোবাসার ছোট্ট ঘর

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৫

বাজেট স্বল্পতার কারণে যারা নতুন সংসার শুরু করেন, তাদের পক্ষেও এক সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব আসবাব কেনা সম্ভব হয় না। কিন্তু বসার জন্য সোফা বা চেয়ার, শোয়ার জন্য খাট, খাওয়ার বা পড়ার জন্য টেবিলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু আসবাবের তো দরকার হয়ই। শুধু প্রয়োজন একটু চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীল একটি মন, অন্দরেই সব স্টোরেজ করে বাঁচিয়ে ফেলুন ঘরের অনেকটা জায়গা। লিখেছেন শারমিন রহমান। 

বসার ঘর ছিমছাম করে সাজাতে ওয়াল কেবিনেট ব্যবহার করতে পারেন। শুধু ঘরের দুটি দেয়াল ঘেঁষে সোফা রেখে মাঝে সেন্টার টেবিল রাখুন। সোফার সামনের দেয়ালে কেবিনেট তৈরি করতে পারেন। এ কেবিনেটেই একাধারে শোকেস ও এলসিডি ইউনিটের কাজ করবে। কেবিনেটের মধ্যে থাকবে টিভি রাখার তাক। সোফার বদলে মেঝেতে ফোম বসিয়ে বা মাদুর, শতরঞ্জি পেতে এর ওপর বড় কুশন পেতেও বসার আয়োজন করা যেতে পারে। লম্বা আকৃতির একটা ফোম বসিয়ে তার ওপর নকশা করা একটা রঙিন চাদর বিছিয়ে ওপরে কিছু রংবেরঙের কুশন ছড়িয়ে দিতে হবে। মাঝখানে সেন্টার টেবিল, তার নিচেও থাকতে পারে স্টোরেজ।

শোবার ঘরের এক পাশের পুরো দেয়াল জুড়েই বানাতে পারেন কেবিনেট। দুটি শোবার ঘর থাকলে মাঝের দেয়ালটাকেই ব্যবহার করুন দুই ঘরের ফার্নিচার হিসেবে। দুই রুমে দুটি আলমারি বানাতে পারেন। সেজন্য পুরো দেয়ালটা অর্ধেক করে দুই পাশে দুই রুমে আলমারির দরজা দিয়ে দিন। এজন্য দুই রুমের আলমারির দরজা ছাড়া বাকি অংশটুকু ডোকো পেইন্ট করে ফেলুন। তাহলে বোঝা যাবে না, ওই অংশটুকু অন্য আলমারির পিছনের অংশ। দুটি রুমে যাতায়াতের জন্য মাঝে একটি দরজাও ব্যবহার করতে পারেন। আর দরজাজুড়ে দুই পাশেই আয়না ব্যবহার করুন, এতে মনে হবে আয়নাটা আলমারিরই একটা অংশ। সাধারণত খাবার ঘরে টেবিল আর ক্রোকারিজ কেবিনেটেই রাখা হয়। খাবার ঘরের ঠিক মাঝখানে খাবার টেবিল রাখুন। খাবার ঘরে শোকেস তৈরি করতে ব্যবহার করুন রুমের বা ড্রয়িংয়ের মাঝের পার্টিশন। কাঠের ফ্রেমের মধ্যে বোর্ডের তাক করে কাচ দিয়ে তৈরি করুন দেয়াল শোকেস। কাচের পাল্লার কেবিনেটে রাখুন ক্রোকারিজ বা শোপিস। ওভেন, ব্লেন্ডার, টোস্টারসহ নানা গ্যাজেটের জিনিসগুলো রাখুন মাঝের ফাঁকা অংশে।

শোবার ঘরে খাট ছাড়া অন্য সব কিছু যেমন :আলমারি, ওয়ার্ডরোব ও ড্রেসিং টেবিল একটা দেয়াল ফার্নিচারে হয়ে যায়। পুরো দেয়াল জুড়ে একটি কেবিনেট তৈরি করুন। কেবিনেটের মাঝের পাল্লায় আয়না বসিয়ে নিচে ড্রয়ার দিন। চাইলে ড্রেসিং ইউনিট আলাদা দেয়ালে করতে পারেন। শোবার ঘরে অনেকেই টেলিভিশন রাখতে চান। এলইডি, এলসিডি, স্মার্ট টিভি—যা-ই হোক না কেন, দেয়ালে কেবিনেট করে নিন। এজন্য বিছানার সামনের দেয়ালটি নির্বাচন করুন। বিছানার উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টিভির উচ্চতা নির্ধারণ করুন। কেবিনেটের মধ্যে টিভি বসিয়ে তার পাশে, ওপরে-নিচে বানিয়ে ফেলুন বুকশেলফ, শোকেস ও সাউন্ড সিস্টেম। ছবির ফ্রেম, পছন্দের কিছু বই, সিডি কিংবা নানা রকম শো-পিসের সংগ্রহ রাখতে পারেন এখানে।

খাটের মাথার দেয়ালের ওপরের অংশে পাল্লাবিহীন কেবিনেট তৈরি করুন। এখানে রাখুন বই আর দু-একটা ফটোফ্রেম।

ঘরের কর্নারটা সাজাতে তৈরি করুন কর্নার কেবিনেট। এতে শো-পিস, ইনডোর প্লান্ট রাখুন। ঘরের খোলা কর্নারে দেয়াল লাগোয়া ডেস্ক আর কেবিনেট তৈরি করুন। এটাকে ব্যবহার করতে পারেন স্টাডি টেবিল হিসেবে অথবা রাখতে পারেন কম্পিউটার। এ ছাড়া এখানে আনুষঙ্গিক জিনিসও রাখতে পারেন।

ইত্তেফাক/আরএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন