ফ্যাশনেবলদের জন্য পোশাক নিয়ে রয়েছে নানা দুশ্চিন্তা। তাই এ সময়টাতে টি-শার্ট হতে পারে আপনার ফ্যাশনেবল লুকের সঙ্গী। বর্তমানে ছেলে-মেয়ে সবার কাছেই বিভিন্ন রঙের ঢঙের টি-শার্ট বেশ আগ্রহের। বিশেষ করে তরুণ সমাজে।
একই সাথে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে টি-শার্টের কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া ডিজাইন ও স্থানভেদে সব শ্রেণির লোকই এ সময়ে টি-শার্ট বেছে নিচ্ছেন। হ্যাংলা-পাতলা এমনকি ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী—সবাই এ শ্রেণির পোশাকে বেশ স্বস্তিবোধ করেন। সব জায়গাতেই পরিধানযোগ্য এ পোশাক।
শরতে খেলতে, ঘুরতে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে— সব জায়গাতেই মানানসই টি-শার্ট। এখন সচেতন তরুণ-তরুণীদের কাছে টি-শার্টের বাড়তি কদর তৈরি হয়েছে। রং ও ডিজাইনে বৈচিত্র্য থাকায় সহজেই প্যান্ট কিংবা জুতার সঙ্গে ম্যাচ করে টি-শার্ট পরা যায়। ক্যাজুয়াল লুকে টি-শার্টের সঙ্গে জিনসের প্যান্ট বেশি মানায়। হাল্কা বা সাদা রঙের টি-শার্ট পরলে নীল বা ছাই রঙের জিন্স, গ্যাবার্ডিন বা সুতি প্যান্টও পরা যায়। তবে ফরমাল প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট এবং একই রঙের টি-শার্ট ও প্যান্ট পরলে দেখতে ভালো লাগে না।
টিনএজ ছেলেরা টি-শার্টের সঙ্গে পাতলা ডেনিম যদিও বিশেষ করে কিশোরী মেয়েদের মধ্যে টি-শার্টের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখা যায়। সেখানেও উজ্জ্বল ও নানা রঙের নকশাই পছন্দের দিকে এগিয়ে। লেগিংস, জেগিংস, গ্যাবার্ডিন বা ডেনিম, পালাজ্জোর সঙ্গে মেয়েদের টি-শার্ট পরা যায়।
টি-শার্টের প্যাটার্ন নতুন বললে ভুল হবে। কারণ বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে ফ্যাশন ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে এটি। আবহাওয়াকে মাথায় রেখে টি-শার্টের ফেব্রিক নির্ধারণ করা হয়। যে কারণে অন্যান্য প্রোডাক্টের চেয়েও গুরুত্ব দিচ্ছেন টি-শার্টকে।
নানা রঙে রঙিন এই টি-শার্টগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে কটন, লেকরা, ক্লাব ও পিকে ফেব্রিক। গর্জিয়াস লুকের টি-শার্টের ডিজাইনে রয়েছে বিভিন্ন কালার ভেরিয়েশন। টি-শার্টগুলো ডিপ ও লাইট কালার এ দুই প্যাটার্নেই তৈরি। কালার ভেরিয়েশনে প্রাধান্য পেয়েছে লাল, নীল, নেভি ব্লু, সবুজ, কমলা মেরুন।
পুরোপুরি সিম্পল অর্থাত্ একঢালা টি-শার্ট (ডিজাইন বাদে) একটু বয়স্করা বেশি প্রাধান্য দেন। আবার শুধু সামনের দিকে লিখে ডিজাইন বা সামনে পেছনে এমব্রয়ডারি করা টি-শার্ট তরুণদের পছন্দ। সামনে পেস্টের ছাপ ও পেছনে সামান্য লেখা টি-শার্ট শিক্ষার্থীদের বেশি পছন্দ।
যে কারণে পরবেন টি-শার্ট
রং ও ডিজাইনে বৈচিত্র্য থাকায় সহজেই প্যান্ট কিংবা জুতা এমনকি রোদ চশমার সাথে ম্যাচিং করে পরা যায়। কাপড় কোমল এবং পাতলা হওয়ায় এই গরমে পরতে বেশ আরামদায়ক। নিতান্তই খুব দামি ব্র্যান্ড না হলে দামও একেবারে নাগালের মধ্যে। ফলে শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বেশ উপভোগ করতে পারেন।
ইজি’র কর্ণধার ও ডিজাইনার তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘ইজি মানে নতুন পোশাক, নতুন ডিজাইন এবং সেই সাথে ক্রেতাদের জন্য নতুন উপহার।’
কোথায় পাবেন
ইজি, প্লাস পয়েন্ট, এক্সট্যাসি, ক্যাটস আই, লা’রিভ, ডিমান্ড জেন্টল পার্ক, ইয়োলোসহ যেকোনো শো-রুমে।
দরদাম
ব্র্যান্ড সপে ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন আপনার পছন্দের টি-শার্ট।
এছাড়া রাজধানীর বঙ্গবাজার, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, গুলিস্তান, বসুন্ধরা মার্কেটসহ যেকোনো মার্কেটে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন পছন্দের টি-শার্ট।