জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনৈতিক প্রভাবের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুরাহার জন্য রাষ্ট্রের নিকট দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থের বিনিময়ে নারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও নিয়োগে বেআইনি প্রভাব বিস্তারের অপরাধে অভিযুক্ত ‘একজন শিক্ষক’ উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন বলে নিজেই স্বীকার করেছেন। তার অনুগ্রহে উপাচার্য চেয়ারে বসে তাকেই ভুলে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তার এই স্বীকারোক্তির ফলে জাবিতে উপাচার্য নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ ইতিপূর্বে উঠেছিল, তা মজবুত ভিত্তি পেলো। এছাড়া অভিযোগ সত্যি হলে বর্তমান উপাচার্য তার পদে থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছেন।
এতে বলা হয়, গত বছরের ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েও বিজয়ী প্রার্থী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনৈতিক অর্থ লেনদেনের কারণে উপাচার্য হতে পারেনি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের চূড়ান্ত অসম্মান করা হয়েছে। এছাড়া ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনপন্থী একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তবে অভিযোগের সুষ্ঠু সুরাহা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর কুরিয়ার মাধ্যমে একটি খামে উপাচার্যকে গালিগালাজ করার অডিও ক্লিপ সম্বলিত ডিভিডি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়। ৫২ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপে মাহমুদুর রহমান জনিকে ‘অস্বাভাবিক’ কন্ঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার-পাঁচটা মুখ শেষ করে দিবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এমনকি অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে উপাচার্যকে চেয়ারে বসিয়েছেন বলে অডিওতে মন্তব্য করেছেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি।