রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:২৪

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার স্ত্রী নাটের জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। পৃথক দুটি মামলায় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ উদ্দীন এই আদেশ দেন।

জানা গেছে, রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় এবং তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় মঙ্গলবার (২৬ সেম্পেম্বর) অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। মঙ্গলবার তারা আদালতে হাজির হননি। এ কারণে তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

নাটোর জেলা দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি আরিফুর রহমান ইত্তেফাককে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, মঙ্গলবার পৃথক দুটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। আসামিরা উপস্থিত থাকলে অভিযোগ গঠন হতো। কারণ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করার নিয়ম। আসামি অনুপস্থিত থাকলে জামিন বাতিল হয়। আসামিদের জামিন বাতিল করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা দুটি পুরানো। হয়ত একারণেই আদালত দ্রুত বিচারের স্বার্থে আসামিদের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জানান, পলাশ হত্যা মামলায় জামিনে ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ওই মামলারই অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু রুহুল কুদ্দুস দুলু আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এ কারণে আসামির পক্ষে অসুস্থতাজনিত কারণে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত সময়ের আবেদন নাকোচ করে জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আইনজীবী কাজী ওয়াজুল বারী ইত্তেফাককে বলেন, বর্তমানে রুহুল কুদ্দুস দুলু গুরুতর অসুস্থ। বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। সময়ের আবেদনের সঙ্গে চিকিৎসার কাগজপত্র যুক্ত করে আবেদন করেছিলেন তারা। কিন্তু আদালত আবেদন মঞ্জুর করেননি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের স্ত্রী নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলাতেও অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তিনিও গুরুতর আসুস্থ হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। সাবিনা ইয়াসমিনের পক্ষেও সময়ের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত সময়ের আবেদন নাকোচ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই মামলাতেও আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ হোসেন দেওয়ান ইত্তেফাককে বলেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা। তাছাড়া নাটোর আইনজীবি সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্য। জামিনে থাকা অবস্থায় এই নেতা জামিনের কোনো অমর্যাদা করেননি। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এই ঘটনায় রুহুল কুদ্দুস ন্যায় বিচার পাননি বলে মনে করেন তিনি।

ইত্তেফাক/পিও