সকালের খাবারের তালিকায় যদি সঠিক খাবার না থাকে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই ব্যাপারটা আমাদের মধ্যেই অনেকরই অজানা।
যেমন, অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তায় ফল খাওয়াটা স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় পড়ে। কিন্তু এই ধারণাটা সঠিক নয়। যেমন, অনেকে খালি পেটে কলা খাওয়া উপকারী মনে করেন। পটাশিয়াম ও ফাইবারে ভরপুর এই ফল দ্রুত হজম হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ বাড়ার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। শুধু সকালে না, যদি কোন ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে খালি পেটে কলা খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। খালি পেটে আপেল খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সকালের নাস্তায় যদি আপেল রাখতে চান তবে তা সবার শেষে খাওয়া ভালো। তার আগে পেট ভরে অন্য খাবার খেয়ে নিতে বলেন চিকিৎসকরা।
সারাদিনের মানাসিক ও কায়িক পরিশ্রমের জন্য সকালে খাবারের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু তারপরও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে সকালে খাওয়া-দাওয়া করেও দুবর্ল হয়ে পড়েন। সঠিক পুষ্টির অভাব হলে মাংসপেশির শক্তি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়াও, যদি সকালে খাবার পরিমাণ অতিরিক্ত হয় তা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করে যা দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।
খাবারের তালিকায় সম্পূর্ণভাবে বিভিন্ন পুষ্টি যোগ করতে পারেন, যেমন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন, ও মিনারেলস। সহজেই প্রযুক্তিগত খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া, সকালে সাধারণভাবে কোন সার্জিক্যাল কাজ করা, যেমন জিম বা শারীরিক ব্যায়াম, খাওয়ার পরে দুর্বলতা তৈরি করতে পারে কারণ তা খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করে । তাই খাবার পর নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করা উচিত যেন শরীরের সাধারণ কাজ সঠিকভাবে চলতে পারে।